পাতা:রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/৪২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७र्छ *ः ] রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা। 8? & স্থানে লক্ষ্য করিয়া দেখ, মাতৃশক্তির পূর্ণতম বিকাশ হইয়াছে। ঐ দেখ, গৰ্ত্তধারণোন্মুখ বৃক্ষলতাগণ কি অপূৰ্ব্ব শোভা ধারণ করিয়াছে। গৰ্ত্তস্থ শশধর উদয়োম্মুখ হইলে জলধির ন্যায় অন্তরে অন্তরে ক্ষোভিত হইতে থাকে। কি যেন, একরূপ গৌরবের ছটা ফুটিয়াছে। অন্তৰ্ম্মন হর্ষোৎফুল্লভাবে ইঙ্গিত করিতেছে। ঐ দেখ, কি মধুর রূপের প্রকাশ । যাহা অন্ত সময়ে দেখিতে পাওয়া যায় নাই, আসন্ন গৰ্ত্তধারণকালে তরুগণ আজ সেই বেশে সজ্জিত হইয়াছে। ইহাই মাতৃশক্তির পূর্ণবিকাশ-চিহ্ন। শরৎকালের শু্যামল ধান্তক্ষেত্র দর্শন করিয়াছ ? তখন দেখিয়াছ, গৰ্ত্তধারণোন্মুখ ধান্তবৃক্ষের কি মধুর শোভা ! গৰ্ত্তধারণোন্মুখ যে কোন বস্তুর নিকটে গমন করিবে, যে কোন পদার্থ দর্শন করিবে, সেই স্থলে মাতৃশক্তির পূর্ণ প্রতিমা দেখিতে পাইবে। উদ্ভিদ রাজ্যের যে ব্যবস্থা, প্রাণি-রাজ্যেও তাহাই। তবে ক্রমবিকাশে প্রাণি-জগৎ ক্রমোন্নত,—যেখানে যত উন্নতি, সেখানে শক্তির বিকাশ তত অধিক পরিমাণে দেখিতে পাইবে। গর্ভধারণোন্মুখী স্ত্রী কীটপতঙ্গেরও রূপ উছলিয়া উঠে। শূকরী কুকুরীও ফলোমুখী হইলে মাতৃশক্তির প্রকাশ চিহ্ন ধারণ করিয়া থাকে। জাগতিক জীবের শ্রেষ্ঠ জীব মানবে সৰ্ব্ব লক্ষণ অধিক পরিমাণে পরিস্ফুট। রমণীও গর্ভধারণোন্মুখী হইলে, তাহার শোভার বিকাশ হইয়া থাকে। যে সময় হইতে ঋতু আরম্ভ