পাতা:রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/৪২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪১৬ সন্মিলনী-শক্তি। [ 8र्थ श्रt হয় এবং যতদিন তাহা বন্ধ হইয়া না যায়, তাবৎ কালই গৰ্ত্তধারণের কাল । তখন রমণী-জাতির শরীর হইতে আকর্ষণের ভাব সৰ্ব্বদাই নির্গত হইতে থাকে,—উহা মাতৃশক্তি বা রসেরই আকর্ষণ। অধিকন্তু ঋতুকালে উহার অতি পরিস্ফুট, অধিকতর বিকাশ,—আর অন্ত সময়ে আপেক্ষিক অল্প । ঋতুকালই পূর্ণরসের কাল বা মাতৃশক্তির বিকাশ কাল। উদ্ভিদ, কীট, পতঙ্গ এবং সৰ্ব্ববিধ পশুতে কেবল ঋতুকালে মাতৃশক্তির বিকাশ, কিন্তু মানবীতে সৰ্ব্বদাই রসের বিকাশ, —কেবল ঋতুকালে অধিক। সুতরাং এখানে মায়ের সৰ্ব্বদাই আবির্ভাব রহিয়াছে। তাই দেবগণ বলিয়াছেন,— “প্রিয়t; সমস্তাঃ সকল জগৎসু ।” и и মার্কণ্ডেয় চণ্ডী । আবার মহাশক্তি দুর্গা ও বলিয়াছেন,— “একৈবাহং জগত্যত্র দ্বিতীয় কা মমাপরা ?” . . . মার্কণ্ডেয় চণ্ডী । শিষ্ম । কথাগুলি উত্তমরূপে বুঝিতে পারিয়াছি। এক্ষণে জিজ্ঞাসা করি,—ঐ সকল স্থানে মাতৃ-শক্তির কি ক্রিয়া হইতেছে ? গুরু । ফুলের কথা প্রথমে বলিয়াছিলাম, সেই ফুলের উদাহরণই প্রথমে ধরিয়া লও। পুষ্পের মধ্যে মাতৃশক্তির ক্রিয়া কিরূপে এবং কি ক্রিয়া হইতেছে,—তাহার অনুসন্ধান ও আলোচনা করা যাউক । কিন্তু সে কথা বুঝিবার আগে,