পাতা:রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/৪২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

છ ત્ર ] রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধন । 8%舖 দ্বারাই দ্বিবিধ রেণু বা বীৰ্য্যবিশেষ নিৰ্ম্মিত হয়। উহ পুষ্পবৃক্ষের সার সংগ্ৰহ করিয়া তন্দ্বারা গঠিত। উহার মধ্যে পুষ্পবৃক্ষের মূল প্রকৃতি ও আর উহার শরীর গঠনের অতি সূক্ষ্মতম মূল উপাদান সন্নিবেশিত আছে,- এই রেণু নিৰ্ম্মাণও স্বষ্টিশক্তির ক্রিয়া। তৎপরে, যে রেণু বা বীৰ্য্য পিতৃশক্তির দ্বারা নিৰ্ম্মিত, তাহ ঐ ধ্বজের অন্তৰ্ব্বত্তী,– পূৰ্ব্বোক্ত সূক্ষ্মপথে উদগীর্ণ হইয়া ধ্বজের অগ্রভাগে উপস্থিত হয়, আবার মাতৃশক্তির দ্বারা যাহা নিৰ্ম্মিত, তাহ উদগীর্ণ হইয়া পুষ্পটির মূলপ্রদেশে আগমন করে,—ইহাও পিতৃ-মাতৃ-শক্তির সেই স্থষ্টিক্রিয়ার অন্তর্গত ক্রিয়া—সুতরাং স্থষ্টি-ক্রিয়াই বলাঃ যাইতে পারে। বলা বাহুল্য, উক্ত উভয়বিধ বীজের মধ্যেও, যথাযথভাবে পিতৃ-মাতৃ-শক্তির আবির্ভাব আছে। সুতরাং তাহাদের পরস্পরের সমাগমের চেষ্টায় পিতৃশক্তি ঐ ধ্বজাগ্রবৰ্ত্তী পৈতৃক-বীজ লইয়া মাতৃবীজের নিকট অধঃপতিত হয়, আবার মাতৃশক্তি ও ঐ বীজ শরীরের দ্বারা তাহাকে আলিঙ্গন করিয়া রাখে। তৎপরে পরম্পরালিঙ্গিত বীৰ্য্যদ্বয় সেই भूर्ण বীজকোষে প্রত্যাহৃত করিয়া লয়। পিতৃশক্তির এই ক্রিয়ার নাম ব্যজন ক্রিয়া,- এই নিমিত্ত এই অবস্থায় পিতৃশক্তিকে ব্যজন-শক্তি বলা যায়। আর মাতৃশক্তি যে ঐ সম্মিলিত বীজম্বর বীজকোষে আনিয়া আত্মসাৎ করে, তাহার নাম ধারণা-ক্রিয়া। এই অবস্থায় মাতৃশক্তিকে ধারণাশক্তি बनों যায়। তৎপরে পিতৃশক্তিতে অনুপ্রবিষ্ট হইয়াই মাতৃশক্তি