পাতা:রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/৪৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ পঃ ] রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা। 8v○ - மம்_துஉ বাৰ্দ্ধক্য,—ক্রমে এক একটি অতিক্রম করিয়া মানুষ অপর অবস্থাতে উপসৰ্পণ করে, কিন্তু যখন একটি অবস্থা অতিক্রম করিয়া অবস্থান্তর গ্রহণ করে, তখন পূৰ্ব্ব পূৰ্ব্ব অবস্থা বিলীন হইয়া যায়,—তেমনি সাধকেরও প্রথম পশুভাব বা ভেদজ্ঞান থাকে, পরে ভেদজ্ঞানের প্রাবল্য নষ্ট হইয়া যখন অভেদ জ্ঞানেরই বিকাশ অবস্থা হয়, তখন আর পশুভাব থাকে না, সাধক তখন বীরভাবে উপস্থিত হয়েন, সুতরাং পশুভাব বীরভাবের বোধক। এইপ্রকার ভেদজ্ঞানের যখন লেশমাত্রও থাকে না, তখন বীরভাব বিনষ্ট হইয়া দিব্যভাব বিকসিত হয়। এইরূপে পশুভাব বীরভাবের সাধক এবং বীরভাব দিব্যভাবের সাধক হয় । এখন বোধ হয় বুঝিতে পারিয়াছ যে, জ্ঞানেরই অবস্থা বিশেষে ভাবের তিনপ্রকার বিভাগ হইয়াছে এবং ভাবত্রর পরস্পর একটি অপরটির কারণ হইয়া থাকে। পশুভাব বীরভাবের কারণ, বীরভাব দিব্যভাবের কারণ,—মুতরাং ভাবত্রয় ক্রম-নিয়মে সংবদ্ধ ;–উহার একটি বর্জন করিয়া অপরটি গ্রহণ করা যায় না। এখন তিনপ্রকার ভাব ও তাহার লক্ষণগুলির বিষয় বোধ হয় অবগত হইতে পারিয়াছ ? শিষ্য। স্থা, তাহ পারিয়াছি। আর একটি কথা । গুরু । কি কথা বল ? শিষ্য। ভাবের সহিত পূৰ্ব্বোক্ত আচারের কিপ্রকার সম্বন্ধ, তাহ শুনিতে বাসনা হইতেছে।