পাতা:রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/৪৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ পঃ ] রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা ৷ 8げ? হইয়া গিয়াছে, যখন সাধক অদ্বৈতানন্দে নিমগ্ন, তখন আবার ছার পার্থিব মদ্য মাংসাদির প্রয়োজনীয়তা কি ? গুরু । উত্তম প্রশ্ন করিয়াছ। এস্থলে একটি কথা তোমাকে জিজ্ঞাসা করিব। শিষ্য । কি কথা প্রভো ? o গুরু। তোমাকে অনেকবার বলিয়াছি যে, প্রকৃতি ও পুরুষ এই পরিদৃশ্যমান জগদ্রপে অবস্থিত। প্রতি জীবনই প্রকৃতি ও পুরুষের সাধনা করিয়া থাকে। এস্থলে আমার জিজ্ঞাস্ত এই যে,—এই যে তান্ত্রিক সাধনার বিষয় বলা হইতেছে,-ইহা তুমি পুরুষ না প্রকৃতির সাধনা বলিয়া বুঝিতেছ ? শিষ্য। আপনি বলিয়াছেন, সেই প্রকৃতি ও পুরুষ একই পদার্থ। শক্তি ও শক্তিমানৰ্মাত্র প্রভেদ। গুরু। স্থা, তাহাই। কিন্তু শক্তিসাধন না করিলে, শক্তিমানের সাধনায় অধিকার জন্মে না | শিষ্য। তাহ ঠিক। গুরু। এই যে তান্ত্রিকী-সাধনার ব্যবস্থা, ইহা মহাশক্তির সাধনা। মহাশক্তিই জীবগণকে পার্থিব রূপ রস গন্ধস্পর্শ ও শব্দে মোহিত করিয়া রাখিয়াছেন। জীব সেই মহাশক্তির সাধনা করিয়া তাহার মোহ-বাহু-বন্ধন হইতে ত্রাণ পাইয়া থাকে। তন্ত্রে সেই শক্তি সাধনা। জীবের অভেদ জ্ঞান হইলেও আকর্ষণের শৃঙ্খল বন্ধন হইতে সহজে মুক্তি পায় না। তাই জীব এইরূপ রসের পথ দিয়া মহাশক্তির