পাতা:রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/৫২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& ,Ꮜ কুমারী পূজা । [ ৫ম অঃ শক্তির আবির্ভাব হয়, পুরুষেও ত তাহা হইয়া থাকে,— তবে পুরুষদিগকে পূজা করিবার প্রথা নাই কেন ? গুরু। পুরুষে সে শক্তির আবির্ভাব কেন হইবে ? শিষ্য। স্ত্রী আর পুরুষ কেবল দৈহিক পার্থক্যে কিছু প্রভেদ বৈ ত নহে। উভয়েই ত চৈতন্তের বিকাশ। গুরু। ঠিক তাহা নহে। শিষ্য। তবে কি ? গুরু। পুরুষ-শক্তি ও স্ত্রীশক্তি পৃথক। শিষ্য। কি প্রকার পৃথক,—তাহা আমাকে বলুন ? গুরু। সে কথা পূৰ্ব্বেও বলিয়াছি। শিষ্য। আর একবার বলুন। গুরু। সেই বলা কথা আবার বলিতেছি, শোন— স্ত্রীশরীরে সঞ্চারিণী (Anabolism) শক্তি অধিক। আর পুরুষে অনুপ্রাণিত ;—স্ত্রী বশবৰ্ত্তিনী, প্ৰসবিনী শক্তি। বেদে স্বামী হোত, স্ত্রী ঋত্বিক। আরও উচ্চস্তরের কথা এই যে, স্বামী চিদাধার, স্ত্রী বিশ্বপ্রকৃতি। পুরুষ সন্ন্যাস, স্ত্রী শিক্ষা, অভীষ্ট দেবতা—জন্ম-সংসার মৃত্যুকারিণী। পিতৃ অংশ উদাসীন,-কেবল জীবনের উন্মেষক ; আর মাতৃ-অংশ দেহ সৃষ্টিকারক-কৰ্ম্মফলভোগ প্রবর্তক। স্ত্রীশক্তি হইতে মানুষ জন্মগ্রহণ করে, স্ত্রীশক্তি লইয়া মানুষ সংসারী হয়, স্বষ্টি-প্রবাহ প্ৰবৰ্ত্তন করে, আবার স্ত্রীশক্তিতেই ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। জীবনের দুইটি কেন্দ্র,—একটি পুরুষ, অপরটি প্রকৃতি।