পাতা:রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/৫৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫৩২ বিন্দু সাধন । [ ৫ম অঃ শিষ্য। তবে হয়ত, মাতৃ-পিতৃ-শক্তির মিলন। গুরু। তাহ হইলেও সে শক্তি আত্মিক নহে ; জৈবিক। আত্মার কোন গুণ বা শক্তি নাই, আত্মা যখন সগুণ বা প্রকট, তখনই তাহার এই সমস্ত । পিতৃ-মাতৃ-শক্তির মিলনেই ঐ বৃত্তি পূর্ণরূপ প্রতিষ্ঠিত। কামিনীর জন্য মানুষ পাগল হয়, উন্মত্ত হয়,—কেন হয় জান কি ? কে না জানে, কামিনীর দেহ মাংসপিণ্ডময় ! নর, নারীর চিন্তায় মহাযোগী হয়, ধারণা, ধান ও সমাধিতে মগ্ন হয় ,—তখন নারী তাহার সংযমের আশ্রয় হয়। কিন্তু এই ধ্যান-ধারণা—এই প্রেমের পরিণাম কি, জান কি ? এক বিন্দু পদার্থে ধারণাই তাহার উদ্দেশু—ঐ রজোবিন্দুর মিলনেচ্ছাই তাহার কারণ। . কিন্তু তাহ হয় না । মানুষ যে সাধনা করিতে যায়, তাহা জনে ন—তাই বিচলিত হইয়া পড়ে। বিন্দু পতন হয়, তখন মানুষ আর মাতুমীর বদন নিরীক্ষণ করিতেও ইচ্ছুক হয় না, – নিরীক্ষণ করিলেও সে সুধাংশু-সৌন্দর্য্য দেখিতে পায় না। মানুষ তখন কামিনীর সমস্ত অঙ্গে মাংসপিণ্ড দর্শন করিয়া থাকে,—কেবল কামিনীর অঙ্গ হইতে নহে, সমস্ত জগৎ হইতে যেন সৌন্দর্ঘ্য তিরোহিত * কামিনীর অঙ্গস্পর্শে যে মোহ উৎপন্ন হইতেছিল, মুহূর্বের মধ্যে তাহ কোথায় যায়, জান ? যে মানুষ মুহূৰ্ত্ত পূৰ্ব্বে কামিনীকে কত আদর করিয়াছে, সে, এখন আর তাহার প্রতি ফিরিয়া দেখিতেও ইচ্ছা করিতেছে না। 1-♔