পাতা:রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/৫৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

»भं श्रृं: ] রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধন। & 89 রোগী স্থচিকাভরণ সেবনে শীঘ্র শীঘ্র রোগ মুক্ত হইতে লাগিল,—ইহাতে কবিরাজ মহাশয়ের পদার প্রতিপত্তি ও যথেষ্ট অর্থ সমাগম হইতে লাগিল। হারাধন দেখিল, কবিরাজ মহাশয় এই কয় দিন আসিয়া এত পসার প্রতিপত্তি ও এত অর্থ উপার্জন করিতেছে,—আর আমি তাহার মুখপানে চাহিয়া সামান্ত ভূত্যের কার্য্য সম্পাদন করিতেছি, কেন আমি কি মানুষ নহি ! আমি কি কবিরাজ হইতে পারি না। 擊 কিন্তু আমি ঔষধ পাইব কোথায় ? তারপর, তাহার মনে হইল, ঔষধের ভাবনা কি,—আমি কবিরাজ মহাশয়ের চিকিৎসা কাৰ্য্যের প্রতি লক্ষ্য রাখিয়া দেখিয়াছি, যত বড় জর বিকরাই হউক, তিনি ঐ যে, সরার (সরাব) ঔষধ, উহাদ্বারাই আরোগ্য করেন,—ও ঔষধ একবড়ীর অধিক প্রায়ই প্রয়োজন হয় না,—অন্তান্ত যে সকল ঔষধ দেন, সে সবই ভড়ং—আসল ঔষধ ঐ গুলি। এক্ষণে ঐ সরা । হইতে ঔষধ গুলি ঢালিয়া লইয়া চলিয়া যাইতে পারিলেই আমি কবিরাজ হইতে পারিব,—কেন এ ভৃত্যজীবনের যন্ত্রণা সহ করা ! পরদিবস কবিরাজ যখন গ্রামের মধ্যে চিকিৎসা করিতে । গমন করিয়াছিলেন, তখন হারাধন তাহার সর হইতে সমস্ত সূচিকাভরণ বটিকাগুলি ঢালিয়া লইয়ু প্রস্থান করিল। ।