পাতা:রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/৫৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় পঃ ] রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধন । @@分 শিষ্য। ভূতগুদ্ধির বিষয় যাহা বলিলেন, পূৰ্ব্বে অনেকবার আপনার নিকটে আমি ভূতশুদ্ধির কথা শুনিয়াছি, কিন্তু এপ্রকার পদ্ধতি কোনদিন শুনি নাই । গুরু। হুঁ, ইহা অপেক্ষাকৃত কিছু নুতন প্রকারের বটে, কিন্তু বৰ্ত্তমানে তোমাকে যে সাধনের কথা বলিতেছি, ইহা অচিরে সিদ্ধি হইবার উপায়,—একথা তুমি স্মরণ রাখিও । শিষ্য। হা, তাহ আমার বিশেষ রূপেই স্মরণ আছে। গুরু। কোন বিষয় জানিতে চাহিতেছিলে, তাহ বল ? শিষ্য। ঐ ভূতশুদ্ধির বিষয়ই। গুরু । কি বল ? শিষ্য। আপনি বললেন, নিজ অঙ্কদেশে হস্তদ্বয়কে চিৎভাবে রাখিয়া মনকে মূলাধারচক্রে অভিনিবিষ্ট পূর্বক হুঙ্কার দ্বারা কুণ্ডলীকে পৃথিতত্ত্বের সহিত স্বাধিষ্ঠান। চক্ৰে তুলিয়া লইয়া অন্যান্ত তত্ত্ব তাহাতে লীন করিবে,— ইহা কি প্রকারে সংসাধত হইতে পারে, তাহাই আমাকে বলুন ? গুরু। চিন্তা দ্বারা জীব তন্ময় হইতে পারে, চিন্তা দ্বারা মানুষে নূতনের স্বষ্টি করিতে পারে, চিন্তা দ্বারা মানুষ মানুষকে আকর্ষণ করিতে পারে,—এক কথায় চিন্তা দ্বারা মানুষ অসাধ্য সাধন করিতে পারে, একথা তুমি স্বীকার কর কি ?