পাতা:রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/৫৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫৬২ কুলাচার সাধন। [ ७ळै खरः to . o "e agos - = ... == গুরু । ঐ প্রকার চিন্তা করিবে । শিষ্য। তাহাতে কি ফল হয় ? গুরু। পূৰ্ব্বে তুমি বলিয়াছ, পাশ্চাত্য বৈজ্ঞানিকগণও চিন্তার মহতীশক্তি স্বীকার করিয়াছেন,— চিন্তা করিয়া মানুষ দেবতা হইয়াছে—মানুষ পাষাণ হইয়াছে। কৃষ্ণবর্ণ গৌরবর্ণ হইয়াছে, গেীর কৃষ্ণবর্ণ হইয়াছে। চিন্তা করিলে মানুষের সমস্তই সুসিদ্ধ হয়, অতএব স্থল হইতে ক্রমে সুহ্মতত্ত্বে লয় চিন্তা করিয়া সাধক ব্রহ্মমাত্র অবশিষ্ট থাকেন। তত্ত্ব সমুদয় চিন্তার দ্বারা ক্রমে স্থক্ষ্মে লয় প্রাপ্ত হয়, তখন থাকেন ব্রহ্ম, আর এক পাপপুরুষ,—কারণ ইহার ধ্বংস হয় নাই—চিন্তায় ইহাকে ধ্বংস করা হয় নাই, বা বিজ্ঞানসন্মতভাবে ধবংস করা যায় না । শিষ্য। কেন যায় না ? গুরু । স্বর্ণে খাদ থাকিলে, পোড়দ্বারা যখন সেই খাদ ঝাড়া হয়, তখন পোড়ে পোড়ে স্বর্ণ স্বকীয় অবস্থা ধারণ করে, কিন্তু সেই যে খাদ দেওয়া হইয়াছিল, তাহার ধ্বংস হয় না,—-স্বতন্ত্র হইয়া থাকে,—ইহাও তদ্রুপ। শিষ্য । বুঝিলাম, অতঃপর কি করিতে হইবে, বলুন ? গুরু । অতঃপর,— প্রাগুক্ত প্রকারে চতুৰ্ব্বিংশতি তত্ত্বের লয় চিন্তা করিবে যে, বামকুক্ষিতে রক্তনেত্র, রক্তশাশ্র, কৃষ্ণবর্ণ এক পুরুষ অবস্থান করিতেছেন, এই পুরুয়ের হস্তে রক্তচৰ্ম্ম, ইহঁার স্বভাব