পাতা:রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/৫৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ পঃ ] রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা ৷ © ?Ꮻ > শিখ হিন্দু কি ঐ সকল বলির মাংস ভোজন করিতে পারে। গুরু। সৰ্ব্বত্র সকল পশুর মাংস ভোজনের ব্যবস্থা নাই। ঐ যে সাধকের ইচ্ছানুসারে বলির কথা উল্লেখ হইয়াছে, উহার অর্থ, যে দেশে যে মাংস ভোজনপ্রথা প্রচলিত আছে, সেই দেশে সেই পশুই বলি দিবে। শাস্ত্র সমগ্র দেশের ও সমগ্র, মানবজাতির জন্ত,—যে দেশে বা যে জাতি যে মাংস ভোজন করে, সেই দেশে বা সেই জাতি সেই পশুই বলি দিবে। . শিষ্য। বুঝিয়াছি,—তারপরে কি করিতে হইবে বলুন ? গুরু। অতঃপর পশুবলি প্রদান করিতে হইবে। শিষ্য। তাহার বিধান বলুন ? গুরু। বলিতেছি, শ্রবণ কর,— মন্ত্ৰবিং সাধক দেবীর অগ্রে সুলক্ষণ পশু সংস্থাপন পূৰ্ব্বক অর্ঘ্য জলে প্রেক্ষিত করিয়া, ধেমুমুদ্রায় অমৃতীকরণ করত: ছাগকে—"ছাগপশবে নমঃ”—এই ক্রমে গন্ধ, পুষ্প, ধূপ, দীপ, নৈবেদ্য ও জলদ্বারা পূজা করিবে। অনস্তর পশুর কর্ণে পাপবিমোচনী গায়ত্রী উচ্চারণ করিবে, যথা ;– পশুপাশায় বিদ্মহে বিশ্বকৰ্ম্মণে ধীমহি তন্নে৷ জীবঃ প্রচোদয়াৎ । অনন্তর খড়গ লইয়া তাহাতে কৃষ্ণবীজে পূজা করতঃ যথাক্রমে খড়োর অগ্রে, মধ্যে ও মূলদেশে পূজা করিবে।