পাতা:রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় পঃ ] রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা। (t)" ফিরিয়া যাইতে আদেশ করেন। এইরূপে বিষয় গৃহীত হইয়া থাকে । পুরুষ ব্যতীত আর সকলগুলি জড় । তবে মন, চক্ষুরাদি বাহ যন্ত্র অপেক্ষা স্বক্ষতর ভূতে নিৰ্ম্মিত। মন যে উপাদানে নিৰ্ম্মিত, তাহা ক্রমশঃ স্থলতর হইলে তন্মাত্রার উৎপত্তি হয়। উহা অারও স্থল হইলে পরিদৃশুমান ভূতের উৎপত্তি হয়। সাংখ্যের মনোবিজ্ঞানই এই, সুতরাং বুদ্ধি ও স্থল ভূতের মধ্যে প্রভেদ কেবল । মাত্রার তারতম্য। একমাত্র পুরুষই চেতন । মন যেন আত্মার হাতে যন্ত্রবিশেষ। উহা দ্বারা আত্মা বাহ বিষয় গ্রহণ করিয়া থাকেন। মন সদা পরিবর্তনশীল, একদিক হইতে অন্যদিকে দৌড়ায়,—কখন সমুদয় ইন্দ্রিয়গুলিতে সংলগ্ন থাকে না। মনে কর, আমি একটি শব্দ মনোযোগ করিয়া শুনিতেছি, ঐরূপ অবস্থায় আমার চক্ষু উল্মীলিত থাকিলেও কিছুই দেখিতে পাইব না ; ইহাতে স্পষ্ট জানা যাইতেছে যে, মন যদিও শ্রবণেন্দ্রিয়ে সংলগ্ন ছিল, কিন্তু দর্শনেন্দ্রিয়ে ছিল না। এইরূপ, মন সমুদয় ইন্দ্রিয়েও এক সময়ে সংলগ্ন থাকিতে পারে। মনের মুবার অন্তদৃষ্টির শক্তি আছে, এই ক্ষমতাবলে মানুষ নিজ অস্তরের গভীরতম প্রদেশে দৃষ্টি করিতে পারে। এই অন্তদৃষ্টির শক্তি লাভ করা যোগীর উদ্দেশু ; মনের সমুদয় শক্তিকে একত্র করিয়া ও ভিতরের দিকে ফিরাইয়া, ভিতরে কি হইতেছে, তাহাই তিনি জানিতে চাহেন। ইহাতে বিশ্বাসের কোন কথা