পাতা:রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ পঃ ] রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা ৷ \9č দুৰ্য্যোধন যুধিষ্ঠির প্রভৃতি ক্ষত্রিয় রাজন্তবৃন্দের রাজত্বকালে এমন কি ধৰ্ম্মের বিপ্লব উপস্থিত হইয়াছিল ;– যাহা ইংরেজী শিক্ষিত কুকুট মাংসভোজী ম্লেচ্ছদাসত্ব উপজীবী ব্রাহ্মণ সস্তানগণের যুগে উপস্থিত হয় নাই ? তখন যদি ভগবানকে সেই বিপ্লব নিবারণার্থ অবতার গ্রহণ করিতে হইয়াছে, তবে এখনও তাহার আসিবার সময় হয় নাই কেন ? শিষ্য। বুঝিতে পারি না। গুরু। এ কথার মীমাংসার চেষ্টা আগেই করা হইয়াছে। সত্য, ত্রেতায় ও দ্বাপরের প্রথমযুগে মানবের জন্ত যে ধৰ্ম্ম প্রচলিত ছিল,— তাহ মানবের স্বনুষ্ঠিত ছিল, মানব তাহাতে উত্তীর্ণ হইয়াছে—মানব তাহাতে সিদ্ধিলাভ করিয়াছে—পূর্ণতায় বিপ্লব উপস্থিত হয় ; দুকুল পূর্ণ হইলে তীরভূমি ভাসাইয়া বিপ্লব উপস্থিত করে। মানব সত্যযুগের সেই আদি সময় হইতে যাগ যজ্ঞ জপ তপ প্রভৃতি করিয়া আসিয়াছিল,—দ্বাপরের মধ্যযুগে রসের আকাঙ্ক্ষা তাহাদের হৃদয়ে জাগিয়া উঠিয়াছিল, তাই ভগবান রসের অবতার গ্রহণ করিয়াছিলেন। শিষ্য। তবে সেই দিন হইতে সকল মানবই রসতত্তজ্ঞ হইল না কেন ? গুরু। তাহাও কি সম্ভব ? সকল মানবই কি যাগযজ্ঞ ধৰ্ম্ম করিয়া আসিয়াছিল ? কয়েকটি মানবে তাহাকে