পাতা:রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ቄ • রসানুসন্ধান । { ১ম অং করিয়াছিলেন। সেই কথোপকথন হইতে তোমার জিজ্ঞাস্ত বিষয়ের সংক্ষেপ-আভাস প্রদান করিৰ । “প্ৰভূ কহে কহ কিছু সাধ্যের নির্ণর ;– রায় কহে স্বধৰ্ম্মাচরণে কৃষ্ণভক্তি হয় ।” চৈতন্তদেব জিজ্ঞাসা করিলেন, - সাধ্য কি, তাহা বল । রায় রামানন্দ বলিলেন, স্বধৰ্ম্মাচরণই সাধ্য। স্বধৰ্ম্মীচরণ দ্বারাই কৃষ্ণভক্তি উৎপন্ন হইয়া থাকে। মানব জীবন সংগঠন করিতে হইলে, প্রথমেই শিক্ষণীয় বিষয় Discipline অর্থাৎ শৃঙ্খলা। যে ব্যক্তি প্রথম হইতে কোন বিধিমার্গে চলে না,—তাহাতে ব্যভিচার আসিয়া উপস্থিত হয়, বিশৃঙ্খলার আবর্জন তাহার সারা জীবনে জড়াইয়া যায়,—উচ্ছখলে স্বেচ্ছাচারিত আইসে, স্বেচ্ছচারিত মানুষকে ক্রমে ক্রমে অধোগতির পথে টানিয়া লয়। স্বেচ্ছাচারিতা মানব-জীবনের পরম রিপু,-সংযম হষ্টতে দূরে রাখিয়া মানুষ পশু করিতে স্বেচ্ছাচারিতাই সুপারগ ; অতএব, স্বধৰ্ম্মাচরণই সাধ্য, কেন না, স্বধৰ্ম্মাচরণ করিলে, মানুষের রুষঃভক্তির উদয় হয়। কিন্তু চৈতন্যদেব এ উত্তরে সন্তুষ্ট হইলেন না ;–এ বিধি এ ব্যবস্থা সত্যযুগের প্রথম প্রভাতেই প্রচার হইয়াছে। তাছার ইচ্ছ, বর্তমানে বৃন্দাবনের সুরম্য কাননে ষে ধৰ্ম্মেৱ লহর উঠিয়াছে,-কুমুম ফুটিয়া তাহার স্ববাস দিকে দিকে ৰিলাইয়া দিয়াছে, যমুনা উজান বহিয়া কুলু কুলু জ্ঞানে