পাতা:রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8**;环 রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা ৷ לו যে ধর্শ্বের মৰ্ম্ম গাথা গাহিয়া ফিরিয়াছে,—তিনি সেই ধৰ্ম্মের কথা শ্রবণ করেন। তিনি সন্তুষ্ট না হইয়া পুনঃ প্রশ্ন করিলেন,— # “এহ বাহ প্রস্থ কহে জাগে কহ আর ” চৈতন্ত প্রভু বলিলেন,- ইহা বাহিরের কথা হইল। আরও কিছু অগ্রসর হইয়া বল। “রায় কহে কৃষ্ণে কৰ্ম্মপৰ্ণ সৰ্ব্বার।” বিধিমার্গে চলিয়া, জ্ঞানলাভ করিয়া, দৈবীশক্তিলাভ ও সংযম শিক্ষা করিয়া যখন মানুষ মানুষ হইল ; - মানুষ যখন বিধি নিয়মের মধ্যে আপনাকে মজ্জমান রাখিয়া, পুঞ্জাহোমাদি দ্বারা অভিমানশূন্ত ও বিচারে জ্ঞানলাভ করিতে পারিল, তখন তাহার চিত্তচ ঞ্চল্য দূরীভূত হইল,— সে তখন ভগবানে আত্মসমর্পণ করিতে শিক্ষণ করিয়াছে। একটু অগ্রসর হইয়া রায় রামানন্দ তাহারই কথা প্রভুকে বলিয়া দিলেন। কিন্তু প্রভুর যাহা জিজ্ঞাস্ত, তাহার উত্তর হইল না। এ ধৰ্ম্মও বহুদিন আচরিত হইয়াছে— জনকাদি ঋষিগণ অনেকদিন পূৰ্ব্বে কৰ্ম্মফল কৃষ্ণাৰ্পণ করিয়া কৃতাৰ্থ হইয়াছেন। নিষ্কাম ধৰ্ম্মের উজ্জল আলোক ঢালিয়া দিয়াছেন, কিন্তু তাহাও ত অতীত কালের কথা। আরও অগ্রসর হওয়া চাই। তাই চৈতন্তদেৰ পুনরায় জিজ্ঞাসা করিলেন,— * “প্ৰভু কহে এই বাহু আগে কৰ জার।”