পাতা:রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१२ রসানুসন্ধান । - [ ১ম অঃ يمحجيمسدس كعدم প্রভু আরও অগ্রসর হইয়া বলিতে বলিলেন, এবং ঘলিলেন,—ইহাও বাহিরের কথা। রায় রামানন্দ পুনরপি বলিলেন,— “রায় কহে স্বধৰ্ম্মত্যাগ সৰ্ব্ব সাধ্য সার।” রামানন্দ একই নিশ্বাসে দুই প্রকার কথা বলিয়া ফেলিলেন। প্রথম শ্লোকে বলিয়াছেন,—“স্বধৰ্ম্মাচরণে কৃষ্ণভক্তি হয়।” তৃতীয় শ্লোকে সেই মুখেই বলিতেছেন,— “স্বধৰ্ম্মত্যাগ সৰ্ব্ব সাধ্যসার।” স্বধৰ্ম্মত্যাগ কি, তাহ তোমাকে পরে বুঝাইব । আগে এই কথাটাই বলিয়া দিই। হিন্দু শাস্ত্রের প্রণালী এই যে, অধিকারীভেদে এবং স্তরে স্তরে শিক্ষা প্রদান করা হইয়া থাকে। বালককে হাটিতে শিখিবার পূৰ্ব্বে তাহার হাত ধরিয়া হাটাইতে হয়, তার পর হাটিতে শিখিলেও অনেক দিন হাত ধরিয়া লইয়া বেড়াইতে হয়, কিন্তু মধ্যে মধ্যে স্বাধীনতা দিয়া তাহাকে মজবুত করিয়া, তৎপরে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে হয়। যাহাকে হয়ত হাত ধরিয়া হাটিতে শিখান হইয়াছে, তখন হাত ধরিতে গেলে সে বিরক্ত হয়, কাজেই তাহাকে স্বাধীনতা দিতে হয়—হাত ছাড়িতে হয়। রামানন্দ এস্থলে তাহাই বলিয়াছেন। তিনি বলিয়াছেন,-প্রথমে স্বধৰ্ম্মাচরণের দৃঢ়মুষ্টিতে শিশু-ধৰ্ম্মজীবনকে ধরিয়া রাখিলেন, তাহাকে গুটি গুটি পা ফেলাইয়া কৃষ্ণ কৰ্ম্মাপর্ণ শিখাইলেন। এখন আর ভয় নাই, শিপ্ত হাটিতে শিখিয়াছে,—আপনার পায়ের