পাতা:রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ፃ ❖ ब्रमांकूनझांन ! [ ১ম অঃ চৈতন্ত বুঝিলেন,—ইহা ব্রজের ভাব শ্ৰীকৃষ্ণ সংস্থাপিত— শ্ৰীকৃষ্ণের পূর্ণলীলার ইহাও এক আদর্শ। কাজেই,— “প্ৰভু কহে এহোত্তম আগে কহ আর ।” ,ইহা উত্তম সাধ্য—উত্তম পথ। কিন্তু আরও অগ্রসর হও—আরও উচ্চ কথা বল। কৃষ্ণ সংস্থাপিত ধৰ্ম্মের ইহাই শেষ নহে। আরও আছে—আরও অগ্রসর হও। চৈতন্তের কথাতে— l *. “রায় কহে বাৎসল্য প্রেম সৰ্ব্ব সাধ্য সার ॥” বাৎসল্য প্রেম আরও উচ্চ। নন্দ যশোদার বাৎসল্য প্রেমে ভগবান বালক সাজিয়া যশোদার স্তন্ত পান ও নন্দের বাধা মাথায় বহিয়াছিলেন। কিন্তু চৈতন্যদেব ইহাতেও সস্তুষ্ট হইলেন না। “প্ৰভু কহে এহোত্তম আগে কহ অার।” প্রভু বলিলেন,—ইহা উত্তম, কিন্তু আরও অগ্রসর হও । অগ্রসর হইয়া আর কি আছে, তাহ বল। “রায় কহে কান্তভাব প্রেম সাধ্যসার ॥” স্ত্রী যেমন স্বামীকে ভালবাসে, সেইরূপ প্রাণ দিয়া জীবন-যৌবন দেহভার সমর্পণ করিয়া ভগবানকে ভাল বাসিলে, তাহাকে প্রাপ্ত হওয়া যায়। ইহাই সাধ্যের শেষ অবস্থা। প্রেমের ইহাই উৎকৃষ্ট অবস্থা । “কৃষ্ণ প্রাপ্তির উপায় বহুৰিধ হয়। কৃষ্ণ প্রাপ্তির তারতম্য বহুত আছয় ॥*