পাতা:রসমঞ্জরী - ভারতচন্দ্র রায় (১৮৫৩).pdf/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
রসমঞ্জরী।
১৩

গুণ কব হে। অন্য সঙ্গে যদি পিতা, করে মোরে বিবাহিতা, কেমনে তাহার সঙ্গে তোমা ছাড়ি রব হে॥ এমত করিবা কর্ম্ম, নহে যেন স্ত্রীর ধর্ম্ম, বুকে মুখে হলে দাগ কলঙ্কিনী হব হে। যাবৎ না বিভা হয়, তাবৎ এমন ভয়, তাবতি এমত পীড়া দুজনেতে সব হে॥

অথ উঢ়া।

 আপনার পতি আছে, সদা তারে পাই কাছে, তথাপি দারুণ মন পর লাগি মরে গো। সঙ্কেত তরুর মূলে, সঙ্কেত নদীর কূলে, ঘাটে, ভাঙ্গা মঠে মাঠে অন্ধকার ঘরে গো॥ কিঙ্কিণী কঙ্কণ রোল, লুকায়ে চুম্বন কোল, রমণে নাহিক সুখ কোটালের ডরে গো। পরপতি রতি আশ, ঘর ছাড়ি পর বাস, সুখ যদি নহে লোক তবে কেন করে গো॥

অথ পরকীয়ার অন্য ভেদ।

 বিদগ্ধা লক্ষিতা গুপ্তা কুলটা মুদিতা। পরকীয়া নানা ভেদ প্রাচীন লিখিতা॥

অথ বিদগ্ধা।

 বিদগ্ধা দ্বিমত হয় বাক্য আর কাযে। কথা শুনি কার্য্য দেখি বুঝিবা অব্যাজে॥

অথ বাগ্বিদগ্ধা।

 চির পরবাসী স্বামী, বিরহে কাতরা আমি, বসন্তে মাতিল কাম কেমনে বা থাকিব। প্রভুর কুসুমোদ্যান, বড় মনোহর স্থান, মনুষ্যের গম্য নহে সেই স্থানে যাইব॥ ডাকে পিক