হাতে লয়্যা যন্ত্র, গান কাম তন্ত্র, মনে পায়্যা লাজ পায় এলাজ। ভাবে খাটে বসি, প্রাণের প্রেয়সী, আসিতে না জানি কতেক ব্যাজ॥
অথ উৎকণ্ঠিত নায়ক।
কেন না আইল প্রিয়া, বিরহে বিদরে হিয়া, স্থির হব কি করিয়া, ধৈর্য্য আর রহে না। কিবা কোন কার্য্য পাকে, ভীতা কিবা দেখ্যা কাকে, নহে এতক্ষণ থাকে, কাম কি সে দহে না॥ পান গুয়া গন্ধ মালা, অগ্নি সম দেয় জ্বালা, করিলেক ঝালাপালা, তনু প্রাণ রহে না। আসিবেক কত ক্ষণে, তবে সুখ পাব মনে, বিনা তার দরশনে, আর তাপ সহে না॥
অভিসারক নায়ক।
দ্বিতীয় প্রহর রাতে, মোরে কহিয়াছে যাতে, সময় হইল প্রায় স্থির মন টলিল। সুখের কে জানে লেখা, গেলে মাত্র পাব দেখা, অনেক দিনের পর আজি আশা ফলিল॥ অন্ধকারে দেখি আলো, গৌর লোক দেখি কাল, শত্রু জনে মিত্র ভাব জলে স্থল হইল। রজনীতে দিবা মত, তিমির হইল হত, কুপথে সুপথ জ্ঞান তাহে মন লইল॥
অথ বিপ্রলব্ধ নায়ক।
সুখের শয়ন ঘরে, স্বীয়া নানা রস করে, তাহা ছাড়্যা আইলাম পর আশা করিয়া। গুরু ভয় লঘু করে, অন্ধকারে নাহি ডরে, ছাড়িয়া আপন বেশ পর বেশ ধরিয়া॥ সঙ্কেত স্মরণ