দেখিনু নাগরী, রূপের সাগরী, বয়স সন্ধি সময়। শিশু গণে মেলে, রাঁধুবাড়ু খেলে, পুরুষে কিঞ্চিৎ ভয়॥ হংস খঞ্জরীটে, দেখি পদে দিটে, কবে হল বিনিময়। হৃদয় সরোজ, পূজিতে মনোজ, পণ্ডিতে হয় সংশয়॥
অথ নবোঢ়া।
এ যদি রমণে লাজে ভয় হয় স্তব্ধ। নবোঢ়া তাহাকে বলি প্রশ্রয়বিশ্রব্ধ॥
অথ স্বকীয়া নবোঢ়া।
হস্তেতে ধরিয়া, শয্যায় আনিয়়া, যদ্যপি কোলে বসায়। নানা বাক্যছলে, যত্নে কলে বলে, বাহিরে যাইতে চায়॥ নবোঢ়াকে বশ, করণ কর্কশ, সে রস কহিব কায়। যেই পারা করে, স্থির করে ধরে, সেজন ব্যামোহ পায়॥
অথ পরকীয়া নবোঢ়া।
আপনার পতি আছে, ভয়েতে না শুই কাছে, গায় হাত দেয় পাছে, এইডরে ডরে হে। প্রীতের বিষম কায, সে ভয়ে পড়িল বাজ, লাজে পলাইল লাজ, আশা বাসা হরে হে॥ মুখের বাড়াও প্রীতি, হৃদয়ের হর ভীতি, তার পরে যেবা রীতি, রাখ ক্ষমা করে হে। যৌবন কমলাঙ্কুর, লোভে না করিও চুর, হিয়া কাঁপে দুরদুর, পাছে যাই মরে হে॥
অথ সামান্য নবোঢ়া।
কিছা ধরনের আশে, আইনু তোমার পাশে, আগে জানি