তার এক পাশে পঞ্চাশ বৎসরের সর্দ্দার গোরা, আর এক পাশে বারো বৎসরের বালক বাদল,—দুজনেই ঘোড়ায় চড়ে। বাদশা, পদ্মিনী আর তাঁর সহচরীদের থাকবার জন্য, প্রায় আধক্রোশ জুড়ে কানাত ফেলেছিলেন। একে একে যখন সেই সাতশ’ পাল্কি কানাতের ভিতর পৌঁছিল, তখন গোরা, বাদশার হুজুরে খবর জানালেন,—“শাহেনশা, রাণীজি উপস্থিত; এখন তিনি একবার ভীমসিংহের সঙ্গে দেখা করতে চান, বাদশাহের বেগম হলে আর তো দুজনে দেখা হবে না।” বাদশা বল্লেন,—“পদ্মিনী যখন রাণাকে দেখতে চেয়েছেন, তখন আর কথা কি? আমি আধ-ঘণ্টা সময় দিলেম, তার বেশি রাণা যেন পদ্মিনীর কাছে না থাকেন।” গোরা তথাস্তু বলে বিদায় হলেন।
আল্লাউদ্দীন একলা বসে দেখতে লাগলেন— এক দুই করে প্রায় সাতশ’ পাল্কি কানাতের ভিতর থেকে বেরিয়ে চিতোরের মুখে চলে গেল, সঙ্গে ঘোড়ায় চড়ে বারো বৎসরের বাদল। বাদশা একজন ওমরাহকে জিজ্ঞাসা কল্লেন,—“এসব, পাল্কিতে কারা যায়?” শুনলেন, চিতোর থেকে যে সকল বড়-ঘরের রাজপুতনী রাণীকে বিদায় দিতে এসেছিলেন, তাঁরা ফিরে