ছেড়ে আকাশে উঠত, হাজার হাজার হরিণ প্রাণভয়ে পথ-ভুলে ছুটতে ছুটতে যেখানে শিকারী সেইখানেই এসে উপস্থিত হত, ঘুমন্ত সিংহ জেগে উঠত, বাঘ হাঁকার দিত, —শিকারীরা কেউ বল্লম-হাতে মহিষের পিছনে, কেউ খাঁড়া-হাতে সিংহের সন্ধানে ছুটে চলত; কিন্তু নাগাদিত্য আজ বারবার ভেরী বাজালেন, বারবার শিকারীর দল চীৎকার করে উঠল, তবু সেই প্রকাণ্ড বনে একটিও বাঘের গর্জ্জন, একটিও পাখীর ঝটাপট্ কিম্বা হরিণের খুরের খুটখাট্ শোনা গেল না! —মনে হল, সমস্ত পাহাড় যেন ঘুমিয়ে আছে! রাগে নাগাদিত্যের দুই চক্ষু লাল হয়ে উঠল। তিনি দলবলের দিকে ফিরে বল্লেন,—“ঘোড়া ফেরাও। অসন্তুষ্ট ভীল-প্রজা এ বনের সমস্ত পশু অন্য পাহাড়ে তাড়িয়ে নিয়ে গেছে। চল আজ গ্রামে গ্রামে, নগরে নগরে পশুর সমান ভীলের দল শিকার করিগে।”
মহারাজার রাজহস্তী শুঁড় দুলিয়ে কান কাঁপিয়ে পাহাড়ের উপর ইদরপুরের দিকে ফিরে দাঁড়াল;—তার পিঠের উপর সোনার হাওদা, জরীর বিছানা হীরের মত জ্বলে উঠল; তার চারিদিকে ঘোড়ায়চড়া রাজপুতের দুশো বল্লম সকালের আলোয় ঝক্মক্