যখন রাজপুত্র বোলে না জেনেও রাজার মত বাপ্পাকে ভয়, ভক্তি, সেবা কর্তে লাগল; তখন ব্রাহ্মণ অনেকটা নিশ্চিন্ত হলেন, তিনি তখন বাপ্পার শরীরের সঙ্গে মনকেও গড়ে তুলতে লাগলেন। তিনি প্রতিদিন সন্ধ্যার সময় একলা ঘরে বাপ্পার কাছে বসে সেই মালিয়া-পাহাড়ের গল্প, সেই ভীল-বিদ্রোহের গল্প, সেই রাণী পুষ্পবতী, মহারাজ শিলাদিত্য, রাজকুমার গোহ, তাঁর প্রিয়বন্ধু মাণ্ডলিকের কথা একে একে বল্তে লাগলেন। শুনতে শুনতে কখনো বাপ্পার চোখে জল আসত, কখনো বা রাগে মুখ লাল হয়ে উঠত, কখনো ভয়ে প্রাণ কাঁপত। বাপ্পা সারারাত্রি কখনো সূর্য্যের রথ, কখনো পাহাড়ে ভীলের যুদ্ধ স্বপ্নে দেখে জেগে উঠতেন; মনে ভাবতেন,—আমিও কবে হয় ত রাজা হব, লড়াই করব।
এমনি ভাবে দিন কাটছিল। সেই সময় একদিন শ্রাবণ মাসে নতুন নতুন ঘাসের উপর গোরুগুলিকে চরতে দিয়ে বনের পথে বাপ্পাদিত্য একা একা ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। সেদিন ঝুলন পর্ব্ব, রাজপুতদের বড় আনন্দের দিন; সকাল না হতে দলে দলে রাখাল নতুন কাপড় প’রে, কেউ ছোট ভাইবোনকে কোলে