সেই হীরের বালা পরিয়ে দিয়ে রাজকুমার বাপ্পা চাঁপাগাছে ঝুলনা বেঁধে দিয়ে রাজকন্যার হাত ধরে বসলেন। চারিদিকে যত সখী দোলার উপর বর-ক’নেকে ঘিরে ঘিরে ঝুলনের গান গেয়ে ফিরতে লাগল; —“আজ কি আনন্দ, আজ কি আনন্দ!”
খেলা শেষ হল, সন্ধ্যা হল; রাজকুমারী বনের রাখালকে বিয়ে করে রাজবাড়িতে ফিরে গেলেন। আর বাপ্পা ফুলে ফুলে প্রফুল্ল চাঁপার তলায় বসে ঝুলনপূর্ণিমার প্রকাণ্ড চাঁদের দিকে চেয়ে ভাবতে লাগলেন,—আজ কি আনন্দ, আজ কি আনন্দ!
হঠাৎ একটুখানি পূবের হাওয়া গাছের পাতা কাঁপিয়ে ফুলের গন্ধ ছড়িয়ে, হুহু-শব্দে পশ্চিম দিকে চলে গেল; সেই সঙ্গে বড় বড় দুটি বৃষ্টির ফোঁটা টুপ্ টাপ্ করে চাঁপা-গাছের সবুজ পাতার উপরে ঝরে পড়ল। বাপ্পা আকাশের দিকে চেয়ে দেখলেন—পশ্চিম দিক থেকে একখানা কালো মেঘ ক্রমশ পূবদিকে এগিয়ে চলেছে, মাঝে মাঝে গুরুগুরু গর্জ্জন আর ঝিকিমিকি বিদ্যুৎ হানছে! বাপ্পা তাড়াতাড়ি উঠে দাঁড়ালেন; মনে পড়ল, ঘরে ফিরতে হবে। দুধের মত সাদা তাঁর ধবলী গাই বনের মাঝে ছাড়া আছে, তিনি