চাঁপা-গাছ থেকে ছাঁদন দড়ি খুলে নিয়ে ধবলী গাইটির সন্ধানে চল্লেন। তখন চারিদিকে অন্ধকার, মাঝে মাঝে গাছে গাছে রাশি রাশি জোনাকী-পোকা হীরের মত ঝক্ঝক্ করছে, আর জায়গায় জায়গায় ভিজে মাটির নরম গন্ধ বনস্থল পরিপূর্ণ করেছে। বাপ্পা সেই অন্ধকার বনের পথে পথে ধবলীর সন্ধানে ফিরতে লাগলেন। হঠাৎ এক জায়গায়, ঘন বেত-বনের আড়ালে, বাপ্পা দেখলেন,—এক তেজোময় ঋষি ধ্যানে বসে আছেন; ঠিক তাঁর সম্মুখে মহাদেবের নন্দের মত তাঁর ধবলী গাই স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে আছে, আর সেই সাদা গাইয়ের গাঢ় দুধ সুধার মত একটি শ্বেতপাথরের শিবের মাথায় আপনা-আপনি ঝরে পড়ছে। বাপ্পা অবাক হয়ে দাঁড়িয়ে রইলেন।
ক্রমে ধ্যানভঙ্গে মহর্ষির দুটি চোখ সকালবেলায় পদ্মের পাপড়ির মত ধীরে ধীরে খুলে গেল। মহর্ষি মহাদেবকে প্রণাম করে এক অঞ্জলি দুধের ধারা পান করলেন। তারপর বাপ্পার দিকে ফিরে বল্লেন, “শোনো বৎস, আমি মহর্ষি হারীত। তোমায় আশীবর্বাদ করছি, তুমি দীর্ঘজীবী হও, পৃথিবীর রাজা হও। তোমার ধবলীর দুধের ধারায় আজ আমি বড়ই তুষ্ট -