হয়েছি! আজ আমার মহাপ্রস্থানের দিন, এই শেষদিনে তোমায় আর কি দেব? এই ভগবতী ভবানীর খাঁড়া, এই অক্ষয় ধনুঃশর,—এই খাঁড়া পাহাড়ও বিদীর্ণ করে, এই ধনুঃশর পৃথিবী জয় করে দেয়,—এই দুটি তুমি লও। আর, বৎস, ভগবান একলিঙ্গের এই শ্বেত পাথরের মূর্ত্তিটি তুমি সঙ্গে রেখো, সর্ব্বদা এঁর পূজা করবে। আজ হতে তোমার নাম হল—একলিঙ্গকা দেওয়ান। তোমার বংশে যত রাজা, এই নাম নিয়েই সিংহাসনে বসবে।” তারপর নিজের হাতে বাপ্পার গলার চামড়ার পৈতা জড়িয়ে দিয়ে মহর্ষি সমাধিতে বসলেন। দেখতে দেখতে তাঁর পবিত্র শরীর আগুনের মত ধূধূ করে জ্বলে গেল। বাপ্পা, কোমরে খাঁড়া, হাতে ধনুঃশর, মাথায় একলিঙ্গের পাথরের মূর্ত্তি ধরে ধবলী-গাইয়ের পিছনে পিছনে ফিরে চল্লেন;— মেঘের গুরুগুরু, দেবতার দুন্দুভির মত, সমস্ত আকাশ জুড়ে বাজতে লাগল।
তখন ভোর হয়েছে, মেলা-শেষে মলিন মুখে যে যার ঘরে ফিরছে, বাপ্পা সেই যাত্রীদের সঙ্গে ঘরে ফিরলেন।
কিছুদিন পরেই বাপ্পাকে নগেন্দ্রনগর ছেড়ে যেতে