বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রাজকাহিনী - অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৯১৪).pdf/৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫৬
রাজকাহিনী

হল। ঝুলন-পূর্ণিমার খেলাচ্ছলে দুজনে বিয়ে হবার পর বিদেশ থেকে রাজকুমারীর বিয়ের সম্বন্ধ নিয়ে এক ব্রাহ্মণ রাজসভায় উপস্থিত হলেন; সেইদিন সন্ধ্যাবেলা নগেন্দ্রনগরে রাষ্ট হয়ে গেল যে, ব্রাহ্মণ, রাজকন্যার হাত দেখে গুণে বলেছেন, আগেই না কি কোন্ বিদেশীর সঙ্গে রাজকুমারীর বিয়ে হয়ে গেছে; আজ রাজার গুপ্তচর সেই বিদেশীর সন্ধানে ঘুরে বেড়াচ্ছে;—রাজা তার মাথা আনতে হুকুম দিয়েছেন। কথাটা শুনে বাপ্পার মন অস্থির হয়ে উঠল, ভাবনায় ভাবনার সমস্ত রাত কাটিয়ে ভোরে উঠে তিনি দেশ ছেড়ে যাবার জন্যে প্রস্তুত হলেন। যাবার সময় বাপ্পা তাঁর পালক-পিতা পঁচাশি বৎসরের সেই রাজপুরোহিতের কাছে সমস্ত কথা প্রকাশ করে বল্লেন,—“পিতা, আমায় বিদায় দাও। আমি তো এখন বড় হয়েছি; আমার জন্য তোমরা কেন বিপদে পড়?” ব্রাহ্মণ বল্লেন,— “বৎস, তুমি জাননা তুমি কে; তুমি রাজপুত্র; তোমার মা তোমাকে আমার হাতে সঁপে গেছেন; আমি আজ এই অল্প বয়সে একা ভিখারীর মত তোমাকে কেমন করে বিদায় করব?” বাপ্পা তখন ভগবতীর সেই খাঁড়া আর অক্ষয় ধনুঃশর দেখিয়ে বল্লেন, —“পিতা,