বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রাজকাহিনী - অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৯১৪).pdf/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বাপ্পাদিত্য
৫৭

বিদেশে এরাই আমার সহায়, আর আছেন একলিঙ্গজী।” ব্রাহ্মণ তখন আনন্দে দুই হাত তুলে আশীর্ব্বদ কল্লেন,—“যাও বৎস, তুমি রাজার ছেলে, রাজারই মত ধনুঃশর হাতে পেয়েছ! আমি বৃদ্ধ ব্রাহ্মণ আশীর্ব্বাদ করছি পৃথিবীর রাজা হও, যদি কেউ তোমার পরিচয় চায়, তবে গলার কবচ খুলে দেখিয়ে দিও কোন্ পবিত্র বংশে তোমার জন্ম, তোমার পূর্বপুরুষেরা কোন্ রাজসিংহাসন উজ্জ্বল করে গেছেন! যাও বৎস, সুখে থাক!”

 ব্রাহ্মণের কাছে বিদায় হয়ে বাপ্পা ভীলনী-দিদির কাছে বিদায় হতে চল্লেন, কিন্তু সেখানে বিদায় নেওয়া ততটা সহজ হল না। অনেক কাঁদাকাটার পর ভীলনীদিদি বল্লেন,—“বাপ্পা রে, যদি যাবি তবে তোর দুটি ভাই, বালিয় দেবকে সাথে নে। ওরে বাপ্পা, তোকে একা ছেড়ে দিতে প্রাণ আমার কেমন-কেমন করে যে!” তারপর তিনজনের হাতে তিন তিনখানি পোড়া রুটি দিয়ে ভীলনী-দিদি তিনটি ভাইকে বিদায় কল্লেন। বাপ্পা বালিয় ও দেবকে সঙ্গে নিয়ে গহন বনে চলে গেলেন। সেখানে বড় বড় পাথরের থামের মত প্রকাণ্ড প্রকাণ্ড গাছের গুঁড়ি আকাশের দিকে ঠেলে উঠেছে, কোথাও