দিকে রাজার চর মুসলমানের সন্ধানে সন্ধানে ফিরছে। মহারাজা মান নিজে সামন্ত রাজাদের নিয়ে ঘোড়ায় চড়ে যুদ্ধের সমস্ত আয়োজন দেখে বেড়াচ্ছেন,—চারিদিকে হৈ হৈ পড়ে গেছে।
এত গোলমাল, এত লোকজন, এমন প্রকাণ্ড নগর, এত বড় বড় পাথরের বাড়ি বাপ্পা এ পর্য্যন্ত কখনো দেখেন নি। নগেন্দ্রনগরে বাড়ি ছিল বটে, কিন্তু তার মাটির দেওয়াল। সেখানেও মন্দির ছিল কিন্তু সে কত ছোট! বাপ্পা আশ্চর্য্য হয়ে রাস্তার এক পাশে দাঁড়িয়ে রইলেন, বালিয় আর দেব বড় বড় হাতী দেখে অবাক হয়ে হাঁ করে রইল। সেই সময় রাজা মান ঘোড়ায় চড়ে সেই রাস্তায় উপস্থিত হলেন;—সাদা ঘোড়ার সোনার সাজ মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে, মাথায় রাজছত্র ঝল্মল্ করছে, দুইদিকে দুইজন ময়ূর-পাখার চামর ঢোলাচ্ছে! বাপ্পা ভাবলেন,—রাজার সঙ্গে দেখা করবার এই ঠিক সময়। তিনি তৎক্ষণাৎ বালিয় ও দেবের হাত ধরে রাস্তার মাঝে উপস্থিত হয়ে ভগবতী ভবানীর খাঁড়া কপালে স্পর্শ করে মহারাজকে প্রণাম করলেন। রাজা মান জিজ্ঞাসা করলেন,—“কে তুমি? কি চাও?” বাপ্পা বল্লেন, -“আমি রাজপুত-রাজার ছেলে, আপনার আশ্রয়ে