রাজার মত থাকতে চাই।” এই ভিখারী আবার রাজার ছেলে! চারিদিকে বড় বড় সর্দ্দার মুখ টিপে হাসতে লাগলেন, কিন্তু রাজা মান বাপ্পার প্রকাণ্ড শরীর, সুন্দর মুখ, অক্ষয় ধনুঃশর আর সেই ভবানীর খাঁড়া দেখেই বুঝেছিলেন—এ কোনো ভাগ্যবান, ভগবান কৃপা করে এই মুসলমান-যুদ্ধের সময় এই বীর পুরুষকে আমার কাছে পাঠিয়েছেন। মান রাজা তৎক্ষণাৎ নিজের জরীর শাল বাপ্পার গায়ে পরিয়ে দিয়ে একটা কালো ঘোড়া বাপ্পার জন্যে আনিয়ে দিলেন। বাপ্পা বল্লেন,—“মহারাজ, আমার ভীল-ভাইদের জন্যে ঘোড়া আনিয়ে দিন্।” তারপর, বালিয় ও দেবকে ঘোড়ায় চড়িয়ে বাপ্পা সেই কালো ঘোড়ায় উঠে বসলেন;—সমস্ত সৈন্যসামন্ত ও সেনাপতির মাথার উপর বাপ্পার প্রকাণ্ড শরীর, সমুদ্রের মাঝে পাহাড়ের মত, প্রায় আধখানা জেগে রইল; তখন রাস্তার লোক দেখে বলতে লাগল -হাঁ বীর বটে! যেমন চেহারা তেমনি শরীর! চারিদিকে ধন্য ধন্য পড়ে গেল; কেবল রাজার যত সেনাপতি মাথার উপরে রাজবেশমোড়া সেই ভিখারীকে দেখে মান রাজার উপর মনে মনে অসন্তুষ্ট হলেন। রাজা দিন দিন বাপ্পাকে যতই সুনয়নে দেখতে লাগলেন,
পাতা:রাজকাহিনী - অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৯১৪).pdf/৭০
অবয়ব
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৬০
রাজকাহিনী