বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রাজকাহিনী - অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৯১৪).pdf/৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পদ্মিনী
৮৭

পদ্মিনীর জয়।” রাজসভা ভঙ্গ হল। সেই সময় রাজসভার এক পারে, সেই শ্বেতপাথরের জালির আড়াল থেকে, সোনার পদ্মফুল-লেখা একখানি লাল রুমাল সেই রাজভক্ত সর্দ্দারদের মাঝে এসে পড়ল। সর্দ্দারেরা পদ্মিনীর হাতের সেই লাল রুমাল বল্লমের আগায় বেঁধে ‘রাণীর জয়!’ বলে রাজসভা থেকে বিদায় হলেন।

 তারপর, দিন কাটতে লাগল। আল্লাউদ্দীন লক্ষ লক্ষ সৈন্য নিয়ে চিতোরের কেল্লা ঘিরে বসে রইলেন। বাদশার আশা ছিল যে, কেল্লার ভিতর বন্ধ থেকে রাজপুতদের সমস্ত খাবার ফুরিয়ে যাবে, তখন তারা প্রাণের দায়ে পদ্মিনীকে পাঠিয়ে দিয়ে সন্ধি করবে; কিন্তু দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, ক্রমে সম্বৎসর কেটে গেল, তবু সন্ধির নামগন্ধ নেই! বর্ষা, শীত কেটে গিয়ে গ্রীষ্মকাল এসে পড়েছে, পাঠান-সৈন্যেরা দিল্লীতে ফেরবার জন্যে অস্থির হতে লাগল, এমন গরমের দিনে দিল্লীতে চাঁদনী-চৌকে কত মজা! সেখানে কাফিখানায় কত আমোদ চলেছে; আর তারা কিনা, কি বর্ষা, কি হিম, এই হিন্দুর মুল্লুকে এসে খোলা মাঠে পড়ে রয়েছে?—এখানে না পাওয়া যায়