রাজমালা
৭৭
ধন্যমাণিক্য ও হোসেন শাহ
কে আর যুদ্ধ করে? খণ্ডল বশ মানিল। খণ্ডলের বারজন ভূঁয়াকে রাজ-দরবারে পাঠান হয়, খণ্ডলে ভিতরে ভিতরে গৌড়ের সহিত ষড়যন্ত্র চলিতেছিল। সন্দেহের ফলে দরবারে ইহাদের মাথা কাটিয়া ফেলা হয়, গৌড়ে হাতীর পেষণে সেনাপতির মৃত্যুর এইরূপে প্রতিশোধ লওয়া হয়। ইহার পরে খণ্ডল আর টুঁ শব্দও করে নাই।
(১০)
ধন্যমাণিক্য ও হোসেন শাহ
কুকি রাজ্য জয়ে ত্রিপুরার পূর্ব্ব সীমা ব্রহ্মদেশ অবধি পৌঁছিয়াছিল। সুতরাং চট্টগ্রামের উপর ত্রিপুরেশ্বরের ক্ষমতা যাহাতে না বাড়িতে পারে তৎপ্রতি একদিকে গৌড়ের নবাব হোসেনশাহ ও অন্যদিকে আরাকানপতি মেং তীব্র দৃষ্টি রাখিয়াছিলেন। শীঘ্রই চট্টগ্রামের প্রাধান্য লইয়া যুদ্ধ বাঁধিল, মঘসৈন্য ও নবাবের সৈন্যে রণক্ষেত্র ছাইয়া গেল কিন্তু হনুমানধ্বজ রায় কাচাগের আগমনে হিন্দুর জয় হইল। রায় কাচাগের প্রবল পরাক্রমের নিকট পরাজিত হইয়া নবাবের যে ফৌজ স্থায়ীভাবে চট্টলে থাকিত তাহারা কিল্লা ভাঙ্গিয়া গৌড়ে চলিয়া গেল। চট্টলে হিন্দু রাজার কেতন উড়িল।