রাজমালা
১০৭
উদয়মাণিক্য ও জয়মাণিক্য
এবং নিজ নামে “উদয়পুর” নামকরণ করেন, ইহার পরিমাণ চারি দ্রোণ চারিকাণি ভূমি। সেইখানে এক মঠ নির্ম্মাণ করিয়া চন্দ্রগোপীনাথ নামে এক বিগ্রহ স্থাপন করেন।
ত্রিপুরারাজ্যে ম্যাকবেথের শাসন প্রবর্ত্তিত হইল—পবিত্র রাজবংশের ধারা বিচ্ছিন্ন হইয়া গেল। চতুর্দ্দিকে ঘোর অশান্তির সৃষ্টি হইল, গোপীপ্রসাদের অত্যাচারের সীমা রহিল না, নারী হরণে, ইহার নামে সকলে শিহরিয়া উঠিতে লাগিল। ত্রিপুরা রাজ্যের এই দুর্দ্দশার কাহিনী যথাসময়ে গৌড়েশ্বরের কানে উঠিল। মমারক খাঁর মর্ম্মান্তিক মৃত্যু ও চট্টলের পরাভব কাহিনী গৌড় ভুলিতে পারে নাই। এই সুযোগে পুনরায় চট্টল আক্রমণের জল্পনা কল্পনা চলিল।
(৭)
উদয়মাণিক্য ও জয়মাণিক্য
গৌড়ের অভিযানবার্ত্তা শুনিয়া উদয়মাণিক্য গৌড় সেনার পথরোধ করিবার মানসে খণ্ডলে রণাগণ নারায়ণের অধীনে এক বিপুল ত্রিপুর বাহিনী পাঠাইলেন। প্রধান সেনাপতি রণা খণ্ডলে এক গড়ঘাই করিয়া ত্রিপুর সৈন্যের শিবির স্থাপন করিলেন, তাহাতে ৫২ হাজার সৈন্যের সমাবেশ হইল। রণার অধীনে চন্দ্রদর্প, চন্দ্রসিংহ, উড়িয়া, গজভীম প্রভৃতি অনেক