এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
রাজমালা
১১০
উদয়মাণিক্য ও জয়মাণিক্য
সেনাপতির হাতে চলিয়া গিয়াছে, কিরূপে পৈত্রিক অধিকার ফিরিয়া পাওয়া যায় তজ্জন্য ভিতরে ভিতরে তীব্র ভাব পোষণ করিতেন। রণা সিংহাসনের পথ নিষ্কণ্টক করিতে যাইয়া জয়মাণিক্য হইতে অমরকেই প্রথমে সরান কর্ত্তব্য মনে করিলেন।
যে সময়ে অমর কল্মিগড়ের সেনানায়ক ছিলেন তখন সহসা একদিন রাজ-আহ্বান আসিয়া উপস্থিত—অমরকে রাজধানী আসিতে হইবে। অমর গড় ছাড়িয়া উদয়পুর আসিয়া পৌঁছিলেন। তোরণ দ্বারে পৌঁছিতেই তিনি জয়মাল্যে ভূষিত হইলেন এবং প্রধান সেনাপতির গৃহে ভোজনের আমন্ত্রণ পাইলেন। অমর ত অবাক! এত সম্মানের কারণ কি? ভিতরে ভিতরে তাঁহার একটু সন্দেহ হইল। যখন রণার গৃহে আসিলেন তখন দেখিলেন সেখানেও সম্মানের চূড়ান্ত হইল। তাঁহাকে
বুঝাইয়া দেওয়া হইল তাঁহার বীরত্বে রণা মুগ্ধ হইয়াছেন