পাতা:রাজমালা - ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/১৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
রাজমালা
 
১১৩
 

অমরসাগর খননে
অমরমাণিক্য

দেখিতে দেখিতে বর্ষার দুর্ব্বার ধারার ন্যায় অমরের সৈন্যগণে চতুর্দ্দিক ছাইয়া গেল। নিরুপায় দেখিয়া রণা রজনী যোগে পলায়ন করিলেন, প্রাণভয়ে এক জলাশয়ে ডুবিয়া রহিলেন কিন্তু অচিরেই ধরা পড়িলেন। অমরের আদেশে তাঁহার মাথা কাটিয়া ফেলা হয়। রণা অমরকে সরাইতে চাহিয়া নিজেই সরিয়া যাইতে বাধ্য হইলেন। ভীরু জয়মাণিক্য রণার মৃত্যুতে বুঝিলেন যে তাঁহার দিনও ফুরাইয়াছে তাই পলায়নের পথ খুঁজিলেন। সত্যই তাঁহার পরমায়ু ফুরাইয়াছিল, মল্লশালায় তাঁহার মৃত্যু ঘটিল। জয়মাণিক্যের মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে ত্রিপুর সিংহাসনে ক্রমওয়েল যুগ বা সেনাপতির অধিকার ফুরাইয়া গেল। ত্রিপুরা রাজ্য হাঁফ ছাড়িয়া বাঁচিল।

(৮)

অমরসাগর খননে অমরমাণিক্য

 ১৫৮৪ খৃষ্টাব্দে শুভদিনে অমরমাণিক্যের রাজ্যাভিষেক হইয়া গেল। এই বীরপুরুষের বাহুবলে বংশের নষ্ট-গৌরব পুনরায় ফিরিয়া আসিল, শুধু এই কারণেই তাঁহার নাম ইতিহাসে অক্ষয় হইয়া থাকিবে। তিনি বয়স্ক হইয়া রাজপদে সমাসীন হন—তাঁহার চারিপুত্র সকলেই নারায়ণ উপাধিতে ভূষিত হইয়াছিলেন। ইহাদের নাম রাজদুর্লভ, রাজধর, অমর