পাতা:রাজমালা - ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/১৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
রাজমালা
 
১১৪
 

অমরসাগর খননে
অমরমাণিক্য

দুর্লভ ও যুঝা সিংহ বীর। তাঁহার রাজ্যলাভ স্মরণীয় করিবার জন্য তিনি ‘অমরসাগর’ খনন করান। আজিও রাজসিংহের রাজসমুদ্রবৎ ‘অমরসাগর’ তাঁহার কীর্ত্তি ঘোষণা করিতেছে। ইহা উদয়পুরে অবস্থিত। অমরপুরেও ইঁহার নামে এক সাগর আছে। উদয়পুরের পূর্ব্বদিকে পাঁচ ক্রোশ ব্যবধানে তাঁহার প্রতিষ্ঠিত ‘অমরপুর’ অদ্যাপি তাঁহার কীর্ত্তি ঘোষণা করিতেছে। সেখানে অমরমাণিক্য নির্ম্মিত ত্রিতল প্রাসাদের ভগ্নাবশেষ এখনও বিদ্যমান্। অমরসাগর খনন উদ্দেশ্যে তাঁহার অধীনস্থ জমিদারবৃন্দকে লোক পাঠাইবার জন্য আমন্ত্রণ দেওয়া হয়। শুভদিনে দীঘির খনন কার্য্য আরম্ভ হয়। মহারাজের কৌতূহল হইল কোন্‌ জমিদার কিরূপ লোক দিয়াছেন। ইহা জানিতে চাহিলে সুবুদ্ধিনারায়ণ তাঁহাকে এইরূপ বলেন—“বিক্রমপুরের জমিদার চাঁদরায় দিয়াছেন ৭০০, বাকলার বসু ৭০০, গোয়ালপাড়ার গাজি ৭০০, ভাওয়াল জমিদার ১০০০, বানিয়াচঙ্গ হইতে ৫০০, সরাইলের ঈশা খাঁ ১০০০, ভুলুয়া হইতে ১০০০, ইহাদের মধ্যে কেহ ভয়ে কেহ বা প্রীতির সহিত এ লোক সংখ্যা পাঠাইয়াছেন কিন্তু শ্রীহট্টের তরপ হইতে কোন উত্তরই পাওয়া যায় নাই।”

 এই কথায় তরপের উপর মহারাজের ক্রোধ হইল, রাজাদেশ অমান্য হইয়াছে বলিয়া ইহার জমিদারকে শিক্ষা দিবার জন্য কুমার রাজধর ২২,০০০ সৈন্য লইয়া যাত্রা করিলেন। ত্রিপুর সৈন্যের আগমনে জমিদার তরপ ছাড়িয়া শ্রীহট্টের