পাতা:রাজমালা - ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/১৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
রাজমালা
 
১৪৬
 

কল্যাণমাণিক্য ও
বাদসাহী ফৌজ

নারায়ণ স্বীয় সৈন্য সহকারে লক্ষ্মীনারায়ণকে ঘেরাও করিলেন। ধৃত অবস্থায় লক্ষ্মীনারায়ণকে উদয়পুরে আনা হয়, কল্যাণমাণিক্য অপরাধীকে মার্জ্জনা করেন। আচরঙ্গ দলনের সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যমধ্যে স্ব স্ব প্রধান ভাব দূর হইয়া গেল, কল্যাণমাণিক্যের বাহুবলে রাজত্ব সুরক্ষিত হইল। তিনিই কল্যাণপুরের স্থাপয়িতা।

(৪)

কল্যাণমাণিক্য ও বাদসাহী ফৌজ

 যশোধরমাণিক্যের সহিত বাদসাহ যে সমর করিয়াছিলেন তাহার উদ্দেশ্য সিদ্ধ না হওয়ায় পুনরায় দিল্লী হইতে মুর্শিদাবাদের নবাবের নিকট হস্তিবল সংগ্রহের জন্য এক তাগিদ আসিল। নবাব ত্রিপুরা আক্রমণের জন্য তোড়জোড় করিতে লাগিলেন। চতুর্দ্দিক ধূলি সমাচ্ছন্ন করিয়া নবাবের ফৌজ ঝড়ের মেঘের মত ত্রিপুরার আকাশে উদিত হইল, মহা দুর্দ্দিন উপস্থিত! কল্যাণমাণিক্য দূতমুখে এই সংবাদ শুনিয়া অসীম সাহসে বুক বাঁধিয়া সমরায়োজন করিতে লাগিলেন। ত্রিপুরার স্বাধীনতা রক্ষায় ত্রিপুর বীরেরা সমরে ঝাঁপাইয়া পড়িতে লাগিল। মোগল সৈন্য ত্রিপুরার সীমান্তে আসিয়া পড়িল, নবাবের পত্র লইয়া দূত ত্রিপুর-শিবিরে পৌঁছিলে