কল্যাণমাণিক্য ও
বাদসাহী ফৌজ
করিয়াছিলেন।” (কৈলাসসিংহ প্রণীত রাজমালা, পৃঃ ৮০) ১৬৬০ খৃষ্টাব্দে ৮০ বৎসর বয়সে সুদীর্ঘ ৩৪ বৎসর রাজত্ব করিয়া মহারাজ পরলোক গমন করেন।
কল্যাণমাণিক্য গভীর নৈরাশ্যের মধ্যে ত্রিপুর সিংহাসনে আরোহণ করেন। মহারাজ বিজয়মাণিক্যের কালে ত্রিপুরা রাজ্য গৌরবের উচ্চ সীমায় আরোহণ করে, তৎপর সুযোগ্য বংশধরের অভাবে এবং সেনাপতির সিংহাসন অধিকারহেতু ত্রিপুর-রাষ্ট্রে পুনরায় দুর্ব্বলতা প্রবিষ্ট হয়। যদিচ অমরমাণিক্যের সুদৃঢ় ভুজবলে রাষ্ট্রের পুনরুদ্ধার ঘটে তথাপি তাঁহার পুত্রগণ মুকুটের প্রলোভনে মঘরাজের নিকট যে পরিমাণে হৃতশক্তি হন সে পরাজয়ের বেগ তাঁহার পরবর্ত্তী রাজগণ প্রতিরোধ করিতে সমর্থ হন নাই। ত্রিপুরা রাজ্য ক্রমেই দিকে দিকে খর্ব্ব হইয়া আসিতেছিল। কল্যাণমাণিক্য স্বীয় অমিত বাহুবলে পুনরায় নষ্টশক্তির কিয়ৎপরিমাণে উদ্ধার সাধন করিয়াছিলেন এবং যে গভীর নৈরাশ্যের মধ্যে তিনি সিংহাসনে আরোহণ করিয়াছিলেন, পরলোক গমন-কালে সেই নৈরাশ্যের তিমির ভেদ করিয়া আশার আলোকে ত্রিপুরা রাজ্য ভরিয়া তুলিয়াছিলেন, ইহাই তাঁহার অতুলনীয় কীর্ত্তি।
১৫৭৩ শকাব্দে কল্যাণমাণিক্য, উদয়পুরে ধন্যমাণিক্য নির্ম্মিত শিবমন্দিরের সংস্কারসাধন করেন।
শ্রীশ্রীকল্যাণদেবস্ত্রিপুর-নরপতি…প্রাদাৎ…ভক্তিতঃ শঙ্করায়।
শাকে ১৫৭৩।