পাতা:রাজমালা - ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/২০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
রাজমালা
১৭৯
দ্বিতীয় ধর্ম্মমাণিক্য

করিয়া মহেন্দ্রের মনে সুখ ছিল না, বিধাতার অভিসম্পাতে তাঁহার জীবনের দিনগুলি নানা বিভীষিকায় পরিপূর্ণ হইয়া উঠিল। খাইতে গেলে মুখে অন্ন রোচে না, শুইলে দুঃস্বপ্নে নিদ্রা দুঃখকর ঠেকে এবং জাগরণে নিদ্রায় তাঁহার মনে হইত তাঁহাকে যেন কে গলা চাপিয়া ধরিতেছে! রত্নমাণিক্যকে গলা চাপিয়া মারা হইয়াছিল। হায় রাজ্যলোভ! ইহার জন্য কত অনর্থই না হইয়াছে! কর্ম্মের ফল অবশ্যম্ভাবী জানিয়াও জীবনের কয়েকটি বৎসর মানুষ সুস্থির হইয়া কাটাইতে পারে না। দুই বৎসর মাত্র রাজত্ব করিয়া দুষ্কৃতি-পাংশুলচিত্তে মহেন্দ্রমাণিক্য কালপ্রাপ্ত হইলেন।

 ভ্রাতার মৃত্যুর পর ১৭১৮ খৃষ্টাব্দে কনিষ্ঠ ভ্রাতা দুর্য্যোধন ধর্ম্মমাণিক্য নাম গ্রহণ করিয়া সিংহাসন আরোহণ করেন। তাঁহার দুই পুত্র গঙ্গাধর ঠাকুর এবং গদাধর ঠাকুর বর্ত্তমানেও তিনি কনিষ্ঠ ভ্রাতা চন্দ্রমণি ঠাকুরকে যৌবরাজ্য প্রদান করেন। অনন্তরাম উজীর এবং রণভীম ছিলেন সেনাপতি। অমরমাণিক্যের কালে উদয়পুর জয় করার ফলে রাজধানীতে মঘ বসতি হইয়াছিল। সেই হইতে মঘবংশ বর্দ্ধমান হইয়া উদয়পুরের অনেকাংশ জুড়িয়া রহিল। ইহারা অকুতোভয়ে চলাফেরা করিত এবং রাজশাসনও উপেক্ষার চক্ষে দেখিত। সেইজন্য ইহাদিগকে ভোজনের কৌশল অবলম্বনে ধ্বংস করা হয়।

 মহারাজ গোবিন্দমাণিক্য আওরঙ্গজেব বাদসাহের সহিত হস্তি-কর মূলক সন্ধি করিয়াছিলেন। সেই সর্ত্ত