পাতা:রাজমালা - ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/২১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
রাজমালা
 
১৮৪
 

মুকুন্দমাণিক্য ও
ইন্দ্রমাণিক্য

অন্য রাণী রুক্মিণীর গর্ভে জয়মণি, হরিমণি, ভদ্রমণি নামে তিন পুত্র জন্মে।

 মুকুন্দমাণিক্য নিত্যানন্দবংশীয় বৃন্দাবনচন্দ্র গোসাই হইতে দীক্ষা গ্রহণ করেন এবং ইষ্ট দেবতা বৃন্দাবনচন্দ্রের মন্দির উদয়পুরে নির্ম্মাণ করেন।

 মুকুন্দমাণিক্যের রাজত্বকাল বড়ই দুঃখময়। ধর্ম্মমাণিক্যের শাসনকালে ত্রিপুরা রাজ্যের সমতল অংশ জমিদারীরূপে পরিণত হওয়ায় নবাবের ফৌজ তথায় স্থায়ী বসতি স্থাপন করিল, ইহাতে ত্রিপুরা রাজ্য অনেকটা কোণঠাসা হইয়া পড়িতে লাগিল। সে সময়ে ফৌজদার ছিলেন মহস্তন। হস্তিকর বাকী পড়ায় নবাবের দরবার হইতে লেখাপড়া চলিতে লাগিল, যুবরাজ পাঁচকড়িও এ সম্বন্ধে পিতাকে জানাইলেন কিন্তু তত সহসা হাতী ধরা গেল না। তাই ফৌজদার মহস্তনকে তাগিদ দিবার জন্য উদয়পুরে পাঠান হইল। মুকুন্দমাণিক্য সুবা রুদ্রমণি (জগন্নাথের প্রপৌত্র) ঠাকুরকে হাতী ধরিবার জন্য গভীর জঙ্গলে পাঠাইলেন কিন্তু ভাল হাতী ধরা পড়িল না। পার্ব্বত্য প্রজারা যখন বুঝিতে পারিল নবাবের দ্বারা মহারাজ শাসিত হইতেছেন তখন ইহাদের মধ্যে অসন্তোষের ভাব দেখা গেল। নবাবের শক্তি কত ইহার পরিমাণ না জানিয়া ফৌজদারসহ মোগল ফৌজটিকে মারিলেই দেশ অব্যাহতি পায় এইরূপ চিন্তা প্রবল হইল। তাহার ফলে রুদ্রমণিসুবা এই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হইলেন এবং ফৌজ ধ্বংসের প্রস্তাব মহারাজের কর্ণে তুলিলেন। কিন্তু