পাতা:রাজমালা - ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/২১৯

উইকিসংকলন থেকে
পরিভ্রমণে চলুন অনুসন্ধানে চলুন
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।

রাজমালা

১৯১

সমসের গাজি

সাক্ষাৎ হয়। ফকির বলিলেন, “সমসের তুমি নিজকে চিনিতে পার নাই, বিধাতা তোমাকে তহশীলদার করিয়া পাঠান নাই—এই চাক্‌লে রোশ্‌নাবাদ একদিন তোমারই হইবে। তোমাকে আমি দৈবশক্তিসম্পন্ন একটি ঘোড়া ও একটি তরবারী দিব, ইহাদের শক্তি বলে তুমি যুদ্ধে অজেয় হইবে। দক্ষিণ শিকের জমিদার নাছির তোমাকে প্রতিরোধ করিতে যাইয়া সবংশে নিহত হইবেন তারপর তোমার সহিত ত্রিপুরেশ্বরের ঘোর সংগ্রাম বাধিবে কিন্তু তোমার জয় অনিবার্য্য। তোমার শক্তির বিষয় তুমি এখনও টের পাও নাই কিন্তু দিন আসিতেছে যখন মর্ম্মে মর্ম্মে যে কথা বলিলাম তাহার সত্যতা উপলব্ধি করিবে।” এই বলিয়া সেই ফকির সমসেরকে দৈব অশ্ব ও তরবারী প্রদান করিলেন।[১]

 ফকির চলিয়া গেলেন, যতদূর দেখা যায় চক্ষু বিস্ফারিত করিয়া সমসের ফকিরকে দেখিতে লাগিলেন। সমসের বুঝিতে পারিলেন তাঁহার হৃদয়ে উচ্চাভিলাষের অনল জ্বালাইয়া ফকির বিদায় লইলেন। দৈব অশ্ব ও তরবারী তাঁহার

  1. নাছির যাইব মারা, পাইবা জমিদারী
    কিন্তু রাজার সঙ্গে তোমার হৈব মহারণ।
    আল্লা এ করিলে হৈবা রাজ্যের ভাজন॥
    এহি সুবর্ণ অশ্ব তোমা দিল তে কারণ।
    মুল্লুক বিজয়ে হৈব জানিয়া আপন॥
    গাজীনামা