পাতা:রাজমালা - ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/২৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
রাজমালা
২০৫
কৃষ্ণমাণিক্য

প্রতি অধিকতর মনোনিবেশ করেন এবং উহাকে রাজধানীরূপে গড়িয়া তুলিতে ঐ সময় হইতে চেষ্টার ক্রটি করেন নাই। কৃষ্ণমালা গ্রন্থে এইরূপ উক্ত হইয়াছে।

এগারশ সত্তর সন হইল যখন
আগরতলা রাজধানী করিল রাজন্॥

 বঙ্গে ইংরেজ যুগ প্রবর্ত্তিত হইবার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই উদয়পুর হইতে রাজধানী পুরাতন আগরতলায় স্থানান্তরিত হয়। উদয়পুর হইতে রাজপাট লইয়া আসিবার সমকালেই বৃন্দাবনচন্দ্রের বিগ্রহ ও চতুর্দ্দশ দেবতা আনয়ন পূর্ব্বক তথায় স্থাপন করা হয়। ক্রমে ক্রমে রাজানুচরগণের আবাস নির্ম্মিত হইলে মহারাজ সকলকে লইয়া আগরতলা চলিয়া আসিলেন, উদয়পুর শূন্য হইয়া পড়িল। সুদূর অতীত হইতে যে উদয়পুর রাজশ্রীসমুজ্জ্বল হইয়া আসিতেছিল তাহার গৌরব স্তিমিত হইয়া পড়িল।

 কৃষ্ণমাণিক্য প্রসিদ্ধ কীর্ত্তি কুমিল্লার সতর রত্ন মন্দির।[১] এ সম্বন্ধে কৃষ্ণমালা গ্রন্থে এইরূপ লেখা হইয়াছেঃ—

এক মঠে সপ্তদশ মঠের গঠন
সপ্তদশ রত্ন নাম হৈল সে কারণ॥
—৯ম খণ্ড ২৬৭ পৃঃ।

  1. কৃষ্ণমণিক্যের অন্যতম কীর্ত্তি আখাউড়া ষ্টেশন সন্নিহিত রাধামাধব মন্দির। শিলালিপির কিয়দংশ এইরূপঃ—বিষ্ণবে কৃষ্ণপ্রীত্যা প্রাদাদ্ রম্যেষ্টকাভির্বিরচিতমমলং মন্দিরং পঞ্চরত্নং। ১৬৯৭ শক।