পাতা:রাজমালা - ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/২৩৫

উইকিসংকলন থেকে
পরিভ্রমণে চলুন অনুসন্ধানে চলুন
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।

রাজমালা

২০৭

দ্বিতীয় রাজধর মাণিক্য

 কৃষ্ণমাণিক্য বহু সদ্‌গুণান্বিত ছিলেন, তাঁহার বৈরী সমসের গাজি প্রদত্ত ব্রহ্মোত্তর ও অন্য নিষ্কর দান রহিত না করিয়া নিজ মহত্ত্বের পরিচয় দিয়াছিলেন।

 সুদীর্ঘ ২৩ বৎসর কাল রাজত্ব ভোগ করিয়া মহারাজ কৃষ্ণমাণিক্য ১৭৮৩ খৃষ্টাব্দে পরলোক গমন করেন।[১]

(২)

দ্বিতীয় রাজধর মাণিক্য

 ১৭৮৩ খৃষ্টাব্দে (১১৯৩ ত্রিপুরাব্দে) মহারাণী জাহ্নবী দেবী পতিবিয়োগে স্বয়ং রাজ্যশাসন ভার গ্রহণ করিলেন। মহারাজ কৃষ্ণমাণিক্য নিঃসন্তান থাকায় রাণী রাজদণ্ড পরিচালন করিতে লাগিলেন। কৃষ্ণমাণিক্য অনুজ হরিমণিকে যুবরাজ পদে বসাইয়াই ছিলেন। হরিমণি তাঁহার রাজত্বকালেই মৃত্যুমুখে পতিত হন। হরিমণির পুত্র রাজধরকেই ভাবী রাজারূপে মহারাজ কৃষ্ণমাণিক্য ও জাহ্নবী দেবী লালন পালন করিয়া

  1. মহারাজ কৃষ্ণমাণিক্যের রাজত্বকাল অবলম্বনে কৃষ্ণমালা রচিত হইয়াছে। রাজমালায় কৃষ্ণমাণিক্য কাহিনী এত সংক্ষেপ করা হইয়াছে যে বুঝিতে অত্যন্ত কষ্ট হয়। কৃষ্ণমালা পাঠ করিলে এই সংক্ষিপ্ত স্থলগুলি সহজেই বুঝা যায়।