পাতা:রাজমালা - ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/২৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
রাজমালা
২০৮
দ্বিতীয় রাজধর মাণিক্য

আসিতেছিলেন। মহারাজের মৃত্যু সংবাদ পাইয়া লিক সাহেব আগরতলা আসিলেন। প্রচ্ছন্নভাবে থাকিয়া মহারাণী সাহেবের সহিত এ বিষয় আলোচনা করেন। মহারাণী সাহেবকে বুঝাইইয়া দিলেন মহারাজ কৃষ্ণমাণিক্য ও তিনি এতকাল যাবৎ রাজধরকেই রাজ্যের ভাবী উত্তরাধিকারীরূপে গণ্য করিয়া আসিতেছিলেন, রাজধরই রাজপদের জন্য নির্ব্বাচিত হইয়া রহিয়াছে ইহাতে আর দ্বিরুক্তি নাই। সাহেব মহারাণীর অভিপ্রায় জানিবার পূর্ব্বেই তৎকালীন গভর্ণর জেনারেল ওয়ারেণ হেষ্টিংসকে এক সুদীর্ঘ পত্র লিখিয়াছিলেন।

 পত্রখানি মহারাজের মৃত্যু সংবাদ পাওয়া মাত্রই লিখিত হইয়াছিল।[১] লিক সাহেবের পত্রের মর্ম্ম ও মহারাণীর অভিপ্রায় ঐক্য হওয়ায় রাজধরের নির্ব্বাচনে বিশেষ জোর হইয়াছিল। সাহেব মহারাণীকে গভর্ণর জেনারেলের নিকট এ বিষয় জানাইতে বলিয়া বিদায় লইলেন।

 মহারাণীর প্রার্থনা ওয়ারেণ হেষ্টিংসের নিকট পৌঁছিল কিন্তু আদেশ হইতে বিলম্ব ঘটিতে লাগিল। জাহ্নবী মহাদেবীই রাজ্য শাসন করিতে লাগিলেন। কৃষ্ণমাণিক্য বীরমণিকে

  1. To the Hon’ble Warren Hastings, Governor General,
    Fort William

    Honourable Sir,
     I Judge it my duty to inform you that I have this day received infomration of the death of the Rajah of