পাতা:রাজমালা - ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/২৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
রাজমালা
২১০
দ্বিতীয় রাজধর মাণিক্য

বুঝিয়া মহারাণী তীর্থ ভ্রমণে বাহির হন এবং গঙ্গাস্নানে তৃপ্তি লাভ করেন। কুমিল্লার প্রসিদ্ধ ‘রাণীর দীঘি’ তাঁহারই কীর্ত্তি বলিয়া কৈলাস সিংহ মহাশয়ের পুস্তকে দেখিতে পাওয়া যায়। ১২১০ ত্রিপুরাব্দে পুণ্যবতী জাহ্নবী মহাদেবীর মৃত্যু হয়। শ্রাদ্ধাদি কার্য্য সাড়ম্বরে সম্পন্ন হয়।

 রাজক্ষমতা লাভ করিয়া রাজধর ক্রমেই শান্ত সুস্থির হইলেন, তাঁহার বাল চপলতা দূর হইল। বিজয়মাণিক্য-তনয় রামচন্দ্র যে সময়ে ত্রিপুরা রাজ্য ত্যাগ করিয়া চট্টগ্রামে বাস করিতেছিলেন, তাঁহার চিত্তে দুরভিসন্ধি হওয়ায় তিনি রিয়াং প্রজাগণকে মহারাজ রাজধর মাণিক্য হইতে বিচ্ছিন্ন করিতে প্রয়াস পাইলেন। এ সংবাদ চাপা রহিল না, শীঘ্রই রাজধর মাণিক্য তাঁহাকে দমন করিতে সৈন্য পাঠাইলেন। পর্ব্বতে পর্ব্বতে উভয় পক্ষে লড়াই চলিতে লাগিল, তিন বৎসর সংগ্রামের পর বিপক্ষ সম্পূর্ণরূপে পরাভূত হইল।

 রাজরাণীর মৃত্যুতে মহারাজ রাজধর মাণিক্য ১২০৮ সনে মণিপুররাজ জয়সিংহের কন্যা চন্দ্ররেখার পাণিগ্রহণ করেন। বিবাহান্তে মহারাজ জয়সিংহ গঙ্গাস্নানে বাহির হন, প্রেমতলা পদ্মাতীরে তাঁহার মৃত্যু হয়। ইহার এক বৎসর পর নিজপুত্র বড় ঠাকুর রামগঙ্গার চন্দ্রতারার সহিত পরিণয় সম্পন্ন হয়।

 সুদৃঢ় ব্রিটিশ শক্তির বেষ্টনে ত্রিপুরা রাজ্য রাজধরমাণিক্য হইতে চলিয়া আসিতেছে, মুসলমান যুগে যেরূপ গৃহবিবাদ এবং স্ব স্ব শক্তিতে নিজ রাজ্যসীমার পরিবর্দ্ধন চলিত ব্রিটিশ