পাতা:রাজমালা - ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/২৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
রাজমালা
২১১
দুর্গামাণিক্য

যুগে তাহার একান্ত অভাব ঘটায়, রাজত্ব ঘটনা বিরল হইয়া পড়িয়াছে। আসমুদ্র হিমাচল ব্রিটিশ শক্তির অখণ্ড প্রতাপে রণবিরহিত এক শান্ত অবস্থায় উপনীত হইয়াছে। ত্রিপুরা রাজ্যের সেই একই অবস্থা!

 রাজধর মাণিক্যের কোষ্ঠীতে ইচ্ছামৃত্যু যোগ দৃষ্ট হয়। ১২১৪ ত্রিপুরাব্দে মহারাজ দেহত্যাগে ইচ্ছুক হইয়া আশ্বিনের পূর্ণিমায় যোগাসনে বসিয়াছিলেন, ইহাতে জয়দেব উজীর মহারাজকে অতি বিনীত বচনে জানান মহারাজ যেন উত্তরায়ণে দেহরক্ষা করেন। রাজধর মাণিক্য উজীরের বাক্য শুনিয়া যোগ ত্যাগ করেন এবং মাঘমাস পর্য্যন্ত মৌনী রহিলেন। ১লা মাঘ শুক্লা প্রতিপদে পুনরায় তিনি যোগাসনে বসিয়া ধ্যানমগ্ন হইলেন এবং যোগশক্তিতে তনুত্যাগ করিলেন।

(৩)

দুর্গামাণিক্য

 রাজধর মাণিক্যের মৃত্যুর পর ১৮০৪ খৃষ্টাব্দে (১২১৪ ত্রিপুরাব্দে) যুবরাজ দুর্গামণির অভিষেক হওয়ার কথা ছিল কিন্তু মহারাজকুমার বড়ঠাকুর রামগঙ্গা সিংহাসন অধিকার করেন। ইহাতে গোলযোগের সৃষ্টি হয়। প্রবল পরাক্রম ব্রিটিশ গভর্ণমেণ্ট থাকিতে উভয়ের দাবী লইয়া যুদ্ধের সৃষ্টি না হইয়া