পাতা:রাজমালা - ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/২৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
রাজমালা
২১২
দুর্গামাণিক্য

মোকদ্দমার সৃষ্টি হইল। কর্ম্মচারিগণের মধ্যে কেহ এপক্ষ কেহ ওপক্ষ লইল। দুর্গামণির পক্ষে প্রধান সহায় ছিলেন রামরতন দেওয়ান। যুবরাজ দুর্গামণি ইহার ভগিণী সুমিত্রার পাণিগ্রহণ করেন। যুবরাজ দুর্গামণি কুকি সরদারগণের সাহায্যে সংগ্রামে প্রবৃত্ত হইলেন কিন্তু ব্রিটিশ কর্ত্তৃপক্ষ তাঁহাকে জানাইয়া দেন তিনি যেন অস্ত্রত্যাগ করিয়া আইন অবলম্বনে দেওয়ানী আদালতে নিজ স্বত্ব প্রমাণিত করেন। দুর্গামণি তদনুযায়ী অস্ত্রত্যাগ করিয়া আদালতের আশ্রয় গ্রহণ করিলেন। কৈলাস সিংহ মহাশয় এ সম্বন্ধে এইরূপ অভিমত প্রকাশ করিয়াছেন, “ইহা নিতান্ত দুঃখ ও পরিতাপের বিযয় যে মহারাজ রামগঙ্গা ও তাঁহার অমাতাবর্গ কেবল রাজপরিবারের উত্তরাধিকার লইয়া সেই মোকদ্দমায় বহুবিধ তর্ক ও আপত্তি উপস্থিত করিলেন কিন্তু ব্রিটিশ আদালতে এবম্প্রকার মোকদ্দমা চলিতে পারে কি না এই তর্ক উপস্থিত করিবার জন্য তাঁহাদের মস্তিষ্ক সঞ্চালিত হইল না। এই ঘটনার ৬০ বৎসর পর কলিকাতা হাইকোর্টের খ্যাতনামা ব্যারিষ্টার মনট্রি সাহেবের মস্তিষ্কে প্রথমে ইহা উদিত হইয়াছিল।”

 আইনের অধিকার অনধিকার যাহাই থাকুক আদালতে এ বিচার কার্য্য সমাধা হইয়া গেল। “১৮০৮ খৃষ্টাব্দে এই মোকদ্দমা ঢাকা প্রভিন্সিয়েল কোর্টের প্রধান বিচারপতি মিঃ বার্ড ও দ্বিতীয় বিচারপতি মিঃ মেলবিল দ্বারা নিষ্পত্তি হইয়াছিল।” দুর্গামণিই রাজ্যের প্রকৃত উত্তরাধিকারী নির্ণীত হইলেন এবং জমিদারীর