পাতা:রাজমালা - ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/২৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
রাজমালা
২৩১
ঈশানচন্দ্রমাণিক্য

 এই সময়ে কুকিগণের প্রভাব লক্ষিত হওয়ায় গ্রেহাম সাহেব আগরতলা আসেন। যুবরাজ ও বড় ঠাকুর পদে তখন পর্য্যন্ত কাহাকেও নিযুক্ত করা হয় নাই—ইহাও গ্রেহাম সাহেবের আলোচ্য বিষয় ছিল। ১৮৬১ খৃষ্টাব্দে গভর্ণমেণ্টের নিকট তিনি এক সুদীর্ঘ রিপোর্ট করেন, ইহাতে মহারাজের ভাব বুঝিয়া তিনি লিখিয়াছিলেন যে নীলকৃষ্ণ ও বীরচন্দ্রকে উপেক্ষা করিয়া স্বীয় পুত্রদ্বয়কে উক্ত পদে নির্ব্বাচন করেন ইহাই মহারাজের মনোগত অভিপ্রায়। শেষ পর্য্যন্ত কর্ত্তৃপক্ষ এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেন নাই, ‘মহারাজের ইচ্ছার উপরই ইহা নির্ভর করে’ এরূপ জানাইয়া মহারাজের স্বাধীনতা অক্ষুণ্ণ রাখিয়াছিলেন।

 এ দিকে গুরু বিপিনবিহারী মহারাজের আয় বৃদ্ধির দিকে লক্ষ্য করিয়া চাকলে রোশনাবাদের অন্তর্গত নিষ্কর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করিবার জন্য চেষ্টা পাইতে লাগিলেন। যেখানে দানপত্র দুর্ব্বল সেখানে আইনের সাহায্যে উহাকে অসিদ্ধ প্রমাণ করিতে লাগিলেন। মহারাজের নিকট ইহা নিতান্ত অপ্রীতিকর ঠেকিয়াছিল তাই তিনি প্রভুর পদযুগল ধরিয়া এ বিষয়ে নিবৃত্ত হইতে প্রার্থনা করিলেন। কিন্তু প্রভু দমিলেন না, তিনি মহারাজকে বলিলেন—“বাবা, তোমার সমস্ত পাপ আমি গ্রহণ করিলাম। লাখেরাজ বাজেয়াপ্ত করিয়া আমি তোমার আয় প্রায় লক্ষ টাকা বৃদ্ধি করিব।”

 এইরূপে বিপিনবিহারী মহারাজের নিতান্ত অনিচ্ছা সত্ত্বেও একজন রাজপুরোহিতের ব্রহ্মোত্তর বাজেয়াপ্ত করিয়া তাহারবীরচন্দ্র