পাতা:রাজমালা - ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/২৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
রাজমালা
রাজ্যশাসনে বীরচন্দ্র

(৭)

রাজ্যশাসনে বীরচন্দ্র

 ১৮৬২ খৃষ্টাব্দে (১২৭২ ত্রিপুরাব্দে) মহারাজ ঈশানচন্দ্রের লোকান্তর প্রাপ্তির সঙ্গে সঙ্গেই সিংহাসন লাভের জন্য এক অভূতপূর্ব্ব কলহের সৃষ্টি হইল। পূর্ব্বকালে মুক্ত কৃপাণের সম্মুখে যে বিবাদের মীমাংসা হইয়া যাইত বর্ত্তমানে আইনের কবলে পড়িয়া উহা দেশ দেশান্তর ঘুরিয়া একেবারে বিলাত যাইয়া তবে নিম্পত্তি লাভ করিল।

 ঈশানচন্দ্রমাণিক্যের রোবকারীর বলে বীরচন্দ্র রাজক্ষমতা লাভ করেন এবং স্বীয় পুত্রদ্বয় ব্রজেন্দ্র ও নবদ্বীপচন্দ্র যথাক্রমে যুবরাজ ও বড়ঠাকুর নিযুক্ত হন। ঐ রোবকারী কোর্টে দাখিল করা হয়। তারিখ দৃষ্টে বুঝা যায় উহা মহারাজের মৃত্যুর পূর্ব্বদিন অনুষ্ঠিত হইয়াছিল। কিন্তু বীরচন্দ্রের বিবদমান ভ্রাতৃদ্বয় চক্রধ্বজ ও নীলকৃষ্ণ ‘এই রোবকারী অসত্য’ বলিয়া আদালতে দাবিদাররূপে আবেদন উপস্থিত করেন। ত্রিপুরার ম্যাজিষ্ট্রেট চট্টগ্রাম বিভাগের কমিশনারের নিকট এ সম্বন্ধে রিপোর্ট করেন। কমিশনার সাহেব গভর্ণমেণ্টকে বীরচন্দ্রের অনুকূলে মন্তব্য দিয়া লিখিলেন, ‘রোবকারী মতে বর্ত্তমানে যে ব্যবস্থা হইয়াছে তাহা চলিতে থাকুক, যাহারা ঐ রোবকারী মানেন না তাঁহারা বরং আদালত যোগে স্ব-স্ব দাবী প্রমাণ