পাতা:রাজমালা - ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/২৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
রাজমালা
২৪০
প্রতিভাবান্ বীরচন্দ্র

মরমে আজিও ব্যথা পাই। এখন পর্য্যন্ত কলিকাতা, কাশী প্রভৃতি স্থানে ভট্ট মহাশয়ের স্বরচিত সঙ্গীত এবং তাহাতে ত্রিপুরার বীরচন্দ্র নাম সংযুক্ত থাকা শুনা যায়।

 “বীরচন্দ্রের দরবারে শ্রীযুক্ত মদনমোহন মিত্র ছিলেন রাজকবি। সঙ্গীত শাস্ত্রে তাঁহার সহায় ছিলেন প্রসিদ্ধ তানসেনের বংশধর বীণ-বাদ্যকর কাশীমালী খাঁ। তিনি লক্ষ্ণৌ নিবাসী ছিলেন। কাশ্মীর হইতে আসিয়া জুটিলেন কুলন্দর বক্স নাট্যাচার্য্য। ইনি সঙ্গীতের হাবভাব দেখাইয়া সুন্দর নাচিতে পারিতেন, তাঁহার উপাধি ছিল কথক। গোয়ালিয়র রাজ্য হইতে আসিলেন প্রসিদ্ধ হায়দর খাঁ, ইনি ছিলেন সুরশিঙ্গা এবং এসরাজ বাদ্যকর। কলিকাতা নিবাসী পঞ্চানন্দ মিত্র সঙ্গীতশাস্ত্ররসে ডুবিয়া যখন সর্ব্বস্বহারা হইয়াছিলেন, তখন তিনি বীরচন্দ্রের নিকট আত্মসমর্পণ করেন। সঙ্গীত বিদ্যাবিশারদ বীরচন্দ্রের দরবারে তিনি পাখোয়াজ ঢোল উত্তম বাজাইতে পারিতেন এবং তাঁহার চেহারাখানা ছিল শিবতুল্য। পঞ্চানন্দ মিত্র আর একজন ভদ্র সন্তানকে আকর্ষণ করিয়াছিলেন। তিনি স্বর্গীয় স্যর রমেশ মিত্রের জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা কেশব মিত্র। তিনি শিক্ষিত এবং সঙ্গীত শাস্ত্রজ্ঞ ছিলেন।

 “মহারাজ বীরচন্দ্র ছিলেন বাংলার বিক্রমাদিত্য। তিনি একাধারে বৈষ্ণবকাব্যরসিক কবি এবং সঙ্গীত ও ললিতকলাবিদ্ ছিলেন। প্রিয়তমা প্রধানা মহিষীর অকাল মৃত্যুতে